আবেদনকারীদের পরিবার যেন ওই দম্পতির সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে না-পারে, তা দেখতে বলেছেন বিচারপতি যশজিৎ সিং বেদীর বেঞ্চ। ১৬ পেরোলেই বিয়ে করা যাবে। একজন বছর ১৬-র বধূ এই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার মামলায় একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিচারপতি যশজিৎ সিং বেদীর বেঞ্চ। তবে, কেবলমাত্র মেয়েরা এই ছাড় পাবেন।
অবশ্য সব মেয়েরা কিন্তু নন। কেবলমাত্র মুসলিম মেয়েরা এই আইনি ছাড় পাবেন বলে আদালত জানিয়েছে। আর পুরুষরা কিন্তু, কোনও ছাড় পাননি। তাদের বিয়ের বয়স সেই ২১ বছরই থাকছে। আদালত এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিল, নির্দিষ্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে। বছর ১৬-র এক কিশোরী এবং বছর ২১-এর এক যুবক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তারা আদালতের কাছে একসঙ্গে থাকার স্বাধীনতা চেয়েছিল। সঙ্গে, পরিবার যাতে তাঁদের কোনও ক্ষতি করতে না-পারে, সেই নিরাপত্তাও আদালতের কাছে চেয়েছিল।
আদালতে আবেদনপত্রে ওই যুগল জানায়, তারা কিছুদিন আগে প্রেমে পড়ে। তারপর বিয়ে করতে চায়। গত ৮ জুন, মুসলিম আচার ও অনুষ্ঠান মেনে তাঁদের বিয়েও হয়ে যায়। কারণ, মুসলিম আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স হলেই সে বিবাহযোগ্য। আর, বিবাহযোগ্য মুসলিম ছেলে বা মেয়ে যে কোনও পছন্দের কাউকে বিয়ে করতে পারে। সেই স্বাধীনতায় কারও হস্তক্ষেপেরও অধিকার নেই। আদালতে ওই দম্পতির আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, নিরাপত্তার জন্য তাদের মক্কেলরা পাঠানকোটের পুলিশ সুপারেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও নিরাপত্তা পাননি।
ওই দম্পতির আইনজীবীদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি যশজিৎ সিং বেদী জানান, ‘আবেদনকারী বধূর বয়স ১৬ বছর। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিনি বিবাহযোগ্য। আর, আবেদনকারী স্বামীর বয়স ২১। তিনিও মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহযোগ্য। তাই এই বিয়ে বৈধ।’ একইসঙ্গে আদালত পাঠানকোটের পুলিশ সুপারকে ওই দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারীদের পরিবার যেন ওই দম্পতির সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে না-পারে, তা দেখতে বলেছেন বিচারপতি। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস