বিপর্যস্ত আসামে ভরসা ‘ভাসমান দোকান
হরেক মাল নিয়ে ভাসমান দোকানে নজর কাড়লেন ধনেশ্বর! ভয়াবহ বন্যায় আসামে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে শতাধিক বলে জানিয়েছে আসাম প্রশাসন। আসাম সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। একইসঙ্গে দুকূল ছাপিয়ে বইছে এই সব নদীগুলোর উপ এবং শাখানদীগুলোও। সব মিলিয়ে আসামের ৩৬ জেলার মধ্যে ৩২টি এই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। আসাম বন্যার মাঝেই ভাইরাল হয়েছে এক ছবি। যেখানে দেখা গিয়েছে কলার ভেলাতে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে এক ব্যক্তি বন্যার মাঝেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।
তার মধ্যেই অবশ্য আশার খবর, কিছু এলাকায় জলস্তরে কমেছে। উদ্ধারকাজে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। এখনও পর্যন্ত ৩,৬৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোথাও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কোথাও আবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এই উদ্ধারকাজ চালিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২৭৬টি নৌকোকে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ধারকাজে যে জেলাগুলোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হল- কামরূপ, কামরূপ গ্রামীণ, বঙ্গাইগাঁও, বরপেটা, বাজলি, হোজাই, নলবাড়ি, দারাং, তামুলপুর, নগাঁও, উদলগুড়ি এবং কাছাড়। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন উদ্ধারকারীরা।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গুয়াহাটির এক ব্যক্তি বন্যার জলে কলার ভেলা, বাঁশের ওপর তার অস্থায়ী দোকান নিয়ে ভেসে যাচ্ছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম ধনেশ্বর দাস। কী রয়েছে তার অস্থায়ী দোকানে? দোকানে পানি, মোমবাতি, দেশলাই থেকে শুরু করে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় হরেক সামগ্রী। দোকানের মাথায় বর্ষা থেকে বাঁচার জন্য টানানো সুবিশাল ছাতা। এই ছবি ও ভিডিও এখন রীতিমত ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। আবার দোকানে রাখা হয়েছে একটি টেবিলও যার ওপর থরে থরে জিনিসগুলি সাজানো রয়েছে। একাধারে অর্থ উপার্জন অন্যদিকে বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য ধনেশ্বরের এই দোকান বলেই জানা গিয়েছে।