মোদীর জমানায় রাষ্ট্রপতি কেমন? কোবিন্দ যেমন

 দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election)জন্য আজ ভোট নেওয়া হবে। সংসদ ভবন ছাড়াও ভোটগ্রহণ করা হবে রাজ্যগুলির বিধানসভা ভবনে। আগামী ২৪ জুলাই বিদায় নেবেন দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। কেমন ছিল তাঁর জমানা?

বিচিত্র মানুষ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি যেন মুখ লুকোতেই ব্যস্ত সদা। ২০১৭-তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি তাঁর নাম ঘোষণার সময় তিনি ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। কিন্তু রাজভবনের বাইরে বেরতেন কদাচিৎ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া দূরে থাক, সরকারি প্রচার মাধ্যম আকাশবাণী, দূরদর্শনের সঙ্গেও কথা বলতেন না।

এমনই একজনকে বিজেপি আবার তাদের জাতীয় মুখপাত্র করেছিল, যিনি কোনও দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, সংসদের উদ্বোধন কিংবা জাতীয় উৎসবের দিনগুলিতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, বার্তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের রীতি না থাকলে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নামও ছাপা হত কি না সন্দেহ।

তিনি তাহলে প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে একান্তে নিজের কাজ করার মানুষ। রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে রুটিন কাজের বাইরে তাঁকে পাওয়া যায়নি। শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের সঙ্গে কোনও কারণে মনোমালিন্য হয়েছে। ধরেই নিতে হয়, বিগত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদী এমন কোনও কাজ করেননি যা রাষ্ট্রপতির চোখে আপত্তিজনক ঠেকেছে।

সাম্প্রদায়িক হানাহানি, ধর্মীয় বিদ্বেষ, দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারে বারে সরকার কাঠগড়ায় উঠলেও টুঁ শব্দটি করেনি রাষ্ট্রপতি ভবন। কোবিন্দ এতটাই নরম, নিরীহ, যে বিরোধীরাও গলা চড়িয়ে তাঁকে গালমন্দ করেনি। ধরেই নিয়েছেন, বৃথাই বলা। বিরোধীদের কথায়, মোদী যেমনটি চেয়েছিলেন, কোবিন্দ সেভাবেই পাঁচটি বছর রাষ্ট্রীয় বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়ে দিলেন।খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে

news