ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা, বন্ধ থাকবে একাধিক স্কুল
করোনার দাপট সামলে ২ বছর পর এবার তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবস উপলক্ষে প্রকাশ্য সমাবেশ হবে। আর সেই কারণে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ইতিমধ্যেই ব্লু-প্রিন্ট ছকে ফেলা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২১ জুলাই ধর্মতলার সভাস্থল ঘিরে একাধিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে একাধিক রাস্তা। এছাড়া শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল ওইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রতি বছর তৃণমূলের শহিদ দিবসে ব্যাপক জনসমাগমের সাক্ষী থাকে কলকাতা (Kolkata)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগের দিনই কলকাতামুখী হন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। তাঁদের জন্য শহরের নানা জায়গায় তাঁদের থাকা, খাওয়াদাওয়ার জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয় শাসকদলের তরফে। মাঝের ২ বছর করোনার (Coronavirus) কারণে ভারচুয়ালি পালিত হয়েছিল ২১ জুলাই। তবে এবছর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। তাই প্রকাশ্যে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সল্টলেক স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোরের মতো একাধিক প্রাঙ্গনে কর্মী, সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। সেসব পরিদর্শন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
ওই বিশেষ দিনে এত বড় জনসভার কারণে যাতে শহরবাসীর কোনও অসুবিধা না হয় দলের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও এ বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আঁটসাঁট ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, ব্র্যাবোর্ন রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি, বিবেকানন্দ রোডের একাংশে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। যানবাহন চলবে ঘুরপথে।
দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ (North Bengal) থেকে কলকাতায় এসে গিয়েছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে তাঁরা নেমেছেন শিয়ালদহ স্টেশনে। সঙ্গে দলীয় পতাকা এবং মুখে স্লোগান – ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জিন্দাবাদ’। আর এতেই স্পষ্ট বৃহস্পতিবার, একুশে জুলাইয়ের দিন এই জনঢল কোথায় পৌঁছবে।সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে