পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে বিশ্বভারতীতে ছাত্র বিক্ষোভ, পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকলেন পড়ুয়ারা
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এ যেন উলটপুরাণ। এবার পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিছনে টিনের অস্থায়ী পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷ তাঁদের দাবি, বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি অবিলম্বে নিতে হবে। প্রসঙ্গত, অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে এর আগে ছাত্র বিক্ষোভে শুরু করেছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati university) ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। আর এই আন্দোলন চলাকালীন অফলাইন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। প্রথম দিকে দু’টি পরীক্ষা অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী দেননি।
বিশ্বভারতীর প্রায় ৮টি ভবনে ফাইনাল সেমিস্টারের কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি পরবর্তীতে দিন ধার্য করে নেওয়ার কথা ছিল। ৮ জুলাই পরবর্তী পরীক্ষার দিন জানাবে, এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সপ্তাহখানেকের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার দিন ধার্য করেনি কর্তৃপক্ষ। আর এতে অনিশ্চয়তার মুখে ফাইনাল সেমিস্টারের কয়েকশো পড়ুয়া৷
তাই সোমবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে৷ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিছনে টিনের অস্থায়ী পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দপ্তরের সামনে চলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। যদিও দপ্তরে উপাচার্য ছিলেন না। পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা এই সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মসচিবকে ডেপুটেশন দিতে চায়৷ পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য জানান, “বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা বাকি ছিল৷ সেগুলো নেবে বলে দিন ঠিক করবে বলেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার দিন ঠিক হয়নি৷ এতে সমস্যায় পড়েছেন ফাইনাল সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীরা।”
এদিকে, এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের উপর দোষ চাপিয়েছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা ২১ জুন পরীক্ষার দিন ঠিক করেছিল। কোন এক অজ্ঞাত কারণে ছাত্রছাত্রীরা ওই দিন পরীক্ষায় বসেননি। কর্তৃপক্ষ ভবন অধ্যক্ষদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবে। তারপর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার দিন ঘোষণা করবে।”সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে