গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীকেও গদিচ্যুত করা যায়,কোর্টে কেন বললেন শিন্ডের আইনজীবী

 মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রাজনৈতিক সংকট নিয়ে হওয়া মামলাগুলির নিষ্পত্তি করতে বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ একটু আগে শুনানি শেষ হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackrey) বনাম একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) মামলার। প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না দু-পক্ষের প্রাথমিক বক্তব্য শোনার পর জানান, মামলা ফের শুনবেন ১ অগাস্ট। সেই সঙ্গে বলেন, মামলাগুলির জন্য বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে দিতে পারেন তিনি। প্রধান বিচারপতি মামলাকারীদের বলেন, আপনাদের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে আসা ঠিক হয়নি। আগে হাইকোর্ট মামলার নিষ্পত্তি করলে ভাল হত।

সুপ্রিম কোর্টের এদিনের অবস্থানে শিন্ডে শিবির আপাতত নিশ্চিন্ত। সুপ্রিম কোর্ট আগেই বিধানসভার স্পিকারকে বলেছে, সর্বোচ্চ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আজকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মামলার নিষ্পত্তিতে কয়েক মাস কেটে যেতে পারে। ফলে ততদিন শিন্ডে সরকার নিশ্চিন্ত।

এদিন শুনানিকে সদ্য গদিচ্যুত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার শপথ নিয়েছে। এতে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। একটা নির্বাচিত সরকারকে বাধ্য করা হয়েছে সরে যেতে।

জবাবে মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের আইনজীবী হরিশ সালভে আদালতে বলেন, গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীকেও গদিচ্যুত করা যায়। একজন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যাঁর সঙ্গে বিধায়কেরা কেউ ছিলেন না। এমন একজন কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন?

সালভের বক্তব্য, একনাথ শিন্ডের সঙ্গে হাত মেলানো বিধায়কদের বিরুদ্ধে কিছুতেই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রযোজ্য হতে পারে না। কারণ তাঁরা কেউ শিবসেনা ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেননি। তাঁরা শিবসেনাতে থেকেই নেতা বদল করেছেন মাত্র।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে 

news