বাংলায় বিজেপির শক্তি ‘ইডি’, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে : ফিরহাদ হাকিম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ‘ইডি’র তৎপরতা প্রসঙ্গে বলেছেন, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। তিনি আজ (শুক্রবার) ওই মন্তব্য করেন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় দলীয় এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই-ইডি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতৃত্ব তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এর পরের দিনই আজ রাজ্যের ১৩টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ‘ইডি’।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা ‘এসএসসি’ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের সিনিয়র নেতা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে ‘ইডি’র অভিযান চালানোর নেপথ্যে বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ও কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘হাই কোর্ট অকারণে হেনস্থা করতে বলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। হাই কোর্ট সিবিআইয়ের কথা বলেছে। এখন ইচ্ছা করে আর্থিক তছরুপের মামলা ঢোকানো হচ্ছে। বেইজ্জত করতে এ সব করা হচ্ছে।’
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ‘ইডির তৎপরতা আগে কখনও দেখিনি। রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা বিজেপির হাতিয়ার। বাংলায় বিজেপির কিছু নেই। বাংলার বিজেপির শক্তি ‘ইডি’। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছি। লড়াই শুরু হয়েছে। সেজন্য বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’
এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বহু মানুষ ওদের সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। একাধিক জায়গায় এদের নাম এসেছে। কোর্ট এদেরকে একপ্রকার দোষী মেনে তদন্তের আদেশ দিয়েছে। সেজন্য তদন্ত হওয়া উচিত, তথ্য জোগাড় করা উচিত। এবং যত এ ধরণের নেতা-মন্ত্রী-অফিসার বা যারা দালাল, যারা এর সঙ্গে যুক্ত বলে নাম এসেছে তাদের সবার বাড়ি তল্লাশি হওয়া উচিত, সবার জিজ্ঞসাবাদ হওয়া উচিত। কারণ এটা শুধু কিছু লোকের টাকা খাওয়া নয়, বাংলার যে গৌরব-গরিমা তা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বাঙালি বলে আমাদের অসম্মানিত হতে হচ্ছে। চোর বলে লোকে আমাদের সন্দেহ করে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ‘সিবিআই’। তারা মূলত বিষয়টির ফৌজদারি দিকটি খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে, আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ‘ইডি’। ইডি’র তদন্তকারীদের ধারণা, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এই মামলায়। কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের অর্থ কোথা থেকে এল? কোথায় গেল? ঘটনায় প্রভাবশালী-যোগ তত্ত্বের সত্যতা কতখানি, এসবই খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে ওই বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছে তারা।খবর পার্সটুডে/ এনবিএস/২০২২/একে