সোমবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ভুবনেশ্বর এইমসের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। পার্থবাবু সেখানে পৌঁছনোর আগেই বহু বাঙালির ভিড় এইমসের গেটের বাইরে। কৌতূহল একটাই, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Partha Arpita) কি আসছেন? তাঁকে যদি একবার দেখা যায়!

বাংলা থেকে চিকিৎসার জন্য যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের আত্মীয়রা ভিড় জমিয়েছেন মূল গেটের বাইরে। এখানে বলে রাখা ভাল, ভুবনেশ্বর এইমসে (Bhuvaneswar aiims) বাংলার বহু মানুষ চিকিৎসা করান। তাঁরা মূলত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের। এদিন তাঁদেরই জটলা এইমসের গেটের বাইরে।

বাংলার সাংবাদিকদের দেখলেই প্রশ্ন, অর্পিতা কি আসছেন? নাকি একা পার্থবাবু? ডেবরা থেকে গিয়েছেন মনোতোষ গিরি। তিনি বলেন, “খবরে দেখেছি পার্থবাবুকে আনা হবে এখানে। দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।” তারপরেই সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রশ্ন, “একা পার্থবাবু? নাকি অর্পিতাও আসছেন?” তাঁকে যখন জানানো হল, শুধু পার্থবাবুই কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরে আসছেন তখন কিছুটা যেন বিমর্ষ হলেন মনোতোষবাবু।

মেচেদা থেকে স্বামীর চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন রীতা মাইতি। হাসপাতাল জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডাক্তারবাবু সকাল সাড়ে দশটা থেকে রোগী দেখবেন। তার আগে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বছর চল্লিশের এই মহিলা। পার্থবাবুকে নিয়ে তাঁরও বিশেষ কৌতূহল নেই। তিনিও ভাবছেন, যদি অর্পিতা আসেন। চাক্ষুষ করার সুযোগ মিস করতে চান না!

ভগবানপুর, পটাশপুর, দাসপুর থেকেও রোগী দেখাতে যাওয়া অনেকে হাসপাতালের গেটের বাইরে অপেক্ষারত। তবে কৌতূহলের টিআরপিতে পার্থবাবুর চেয়ে অর্পিতার রেখচিত্র বেশ উঁচু জায়গায়। খবর দ্য ওয়ালের

news