ত্রিপুরায় তৃণমূলে বড় ধাক্কা, দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন নেতা-কর্মীরা
ভারতে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে একঝাঁক নেতা-কর্মী জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। ওই ঘটনায় ত্রিপুরায় তৃণমূল বড় ধাক্কা খেলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আজ (রোববার) আগরতলায় কংগ্রেস ভবনের সামনে এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেসে যোগ দেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগ এনে দল বদল করেছেন তিনি। বাপ্টু চক্রবর্তীর দাবি- বিগত পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট ১২ জন প্রার্থী আজ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামীতে আরও বেশ কয়েজন তৃণমূল নেতা কংগ্রেস দলে যোগ দেবেন। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করা শুরু করেছিলেন, তারা ভেবেছিলেন, ‘বিজেপি’ দলের বিকল্প হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ত ত্রিপুরা রাজ্যে কাজ করবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন উপায়ে ‘বিজেপি’র হাত শক্ত করছে এবং বিজেপিকে মদদ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আঁতাত করে যাচ্ছে।’ এ ভাবে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগ এনে আজ তারা কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা, রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও ত্রিপুরা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন’ ‘কয়েকদিন আগেও ওরা তার সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ধরনের নেতারা আজকে এখানে, কালকে সেখানে, নিজের আখের গোছানোর জন্যই তারা দলবদল করছেন। দলবদলকারী নেতাদের ‘আয়ারাম-গয়ারাম’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিজেপি-তৃণমূল দলের উপর আস্থা হারিয়ে আজ প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন। তারা ২০২৩ সালে কংগ্রেস দলের নেতৃত্বে এই রাজ্যে সরকার গঠন হচ্ছেই বলে শপথ গ্রহণ করেছেন।
দেবজিৎ ধর দেবো নামে জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতের যুব কংগ্রেসের সদস্য সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতিজা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ভাইপো ব্যর্থ! আজকের পর থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে তৃণমূল বলে কিছুই রইল না।’
অন্যদিকে, তৃণমূল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বাপ্টু চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি বিরোধিতা করার নামে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় পা রাখলেও প্রকৃত অর্থে বিজেপি বিরোধিতা করছে না। অনেক রাজ্যে বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলে থাকলে বিজেপিকে পরাজিত করা যেত না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন বাপ্টু চক্রবর্তী।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


