বিহারে ৮ম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব
ভারতের বিহারে ৮ম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ‘জেডিইউ’ নেতা নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ‘আরজেডি’ নেতা তেজস্বী যাদব। আজ (বুধবার) রাজভবনে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান।
২০০০ সালে, তিনি সাত দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। এরপর ২২ বছরের রাজনৈতিক সফরে তিনি ছয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এবার নীতীশ কুমারের ৮ম বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া একটি বড় রেকর্ড। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী থাকা নেতাও এতবার শপথ নিতে পারেননি।
গতকাল (মঙ্গলবার) নীতিশ কুমার বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘বিজেপি-জেডিইউ’ সমন্বিত এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতিশ কুমার। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে ইস্তফা দেন নীতিশ। এরপরেই তাকে আরজেডি, কংগ্রেস, বামদল ও অন্যরা সমর্থন জানান। এ ভাবে আরজেডি, জেডিইউ অন্য দলের সমন্বয়ে মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হন নীতিশ কুমার। এবং অবশেষে আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় শপথ গ্রহণ করেন নীতিশ কুমার।
এদিকে, আজ দলীয় সদর দফতরের বাইরে ধর্না-অবস্থানে বসেছেন বিজেপি নেতারা। তারা নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ এনেছেন। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার পর নীতীশ কুমার আজই নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি থাকি বা না থাকি! ২০১৪ তে যিনি এসেছিলেন, ২০২৪-এ তিনি থাকবেন না।’
নীতিশ কুমার বলেন, ‘আমি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এ ধরনের পদের প্রার্থী নই। বিজেপিকে টার্গেট করে তিনি বলেন, ওরা মনে করে বিরোধীরা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিরোধীরা কখনো শেষ হতে পারে না। আমরা কাজ করা মানুষ। ২০২০সালে, ষড়যন্ত্রের কারণে তারা কম আসন পেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন নীতিশ কুমার।
এদিকে, নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন নয়া মন্ত্রিসভায় ‘আরজেডি’ কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন তেজ প্রতাপ যাদব, অলোক কুমার মেহতা, অনিতা দেবী, জিতেন্দ্র কুমার রাই, চন্দ্রশেখর, কুমার সর্বজিৎ, বাছা পান্ডে, ভারত ভূষণ মণ্ডল, অনিল সাহনি, শাহনওয়াজ, আখতারুল ইসলাম শাহীন, সমীর মহাশেঠ, ভাই বীরেন্দ্র, ললিত যাদব, কার্তিক সিং, বীণা সিং , রণবিজয় সাহু এবং সুরেন্দ্র রাম।
‘জেডিইউ’ কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন বিজয় কুমার চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব, অশোক চৌধুরী, উপেন্দ্র কুশওয়াহা, শীলা কুমারী, শ্রাবণ কুমার, মদন সাহনি, সঞ্জয় কুমার ঝা, লেশি সিং, সুনীল কুমার, জয়ন্ত রাজ এবং জামান খান। কংগ্রেস কোটা থেকে মদন মোহন ঝা, অজিত শর্মা, শাকিল আহমেদ খান এবং রাজেশ কুমার মন্ত্রী হতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছে।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


