‘নির্ভয়ে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিন’, ধর্ষকদের মুক্তির পর কাতর আরজি বিলকিস বানোর
নারকীয় অত্যাচারের পরও জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে ১১ জন ধর্ষক। এরপর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এনিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন গুজরাটের বিলকিস বানো। গুজরাটের বিজেপি সরকারের কাছে তাঁর কাতর আরজি, “নির্ভয়ে, শান্তিতে বাঁচার অধিকার আমাকে ফিরিয়ে দিন। দয়া করে আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”
বিলকিস বানোর অভিযুক্ত ধর্ষকদের মুক্তি ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে হতভম্ব বিলকিসের পরিবার। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্যাতিতা। জানালেন, বিচারব্যবস্থার উপর তাঁর বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে।
বিলকিসের কথায়, “কোনও নির্যাতিতা মহিলার প্রতি এটা কি ন্যায়? আমি দেশের বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা করেছিলাম। প্রশাসনকে বিশ্বাস করেছিলাম। ধীরে ধীরে আমার যন্ত্রণাকে নিয়ে বাঁচতে শিখছিলাম। আমার এই ব্যথা, এই কষ্ট শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, বরং সেইসমস্ত মহিলাদের জন্য যাঁরা সুবিচারের জন্য আদালত লড়াই করছেন।” তিনি আরও বলেন, “এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ তো আমার নিরাপত্তা কিংবা আমি কেমন আছি, সেসম্পর্কে জানতে চায়নি।” এরপরই গুজরাট প্রশাসনের কাছে তাঁর কাতর আরজি, নিরাপদে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিন।
২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সি বিলকিস বানোকে (Bilkis Bano Gang Rape)। দীর্ঘ বিচারের পরে এগারোজন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। চোদ্দো বছর জেলে কাটানোর পরে সাজা মকুব করার আবেদন জানায় রাধেশ্যাম শাহ নামে এক দোষী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয়, শাস্তির সাজা পুনর্বিবেচনা করতে।
প্রথা ভেঙেই এগারোজন দোষীকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিনই জেল থেকে বেরিয়েছে তারা। বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল বলেছেন, “কোন সরকার দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই ব্যাপারে কোনও কিছুই জানতাম না।সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে


