ভারতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬.২ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক
ভারতে বেকারত্ব, একাকীত্ব, সহিংসতা, পারিবারিক সমস্যা, অ্যালকোহল আসক্তি এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে।
২০২১ সালে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ২০২০ সালে দেশে আত্মহত্যা করেছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫২ জন। এ সময়ে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬.২ শতাংশ। দেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এরপর তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ২০৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। তামিলনাড়ুতে ১৮ হাজার ৯২৫ এবং মধ্যপ্রদেশে ১৪ হাজার ৯৬৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে, পশ্চিমবঙ্গে ১৩ হাজার ৫০০ জন এবং কর্ণাটকে ১৩ হাজার ৫০৩ জন আত্মহত্যা করেছে। ২০২০ সালের তুলনায় মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে ১১.৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯.১ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ৮.২ শতাংশ এবং কর্ণাটকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাঁচটি রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনা দেশে রিপোর্টের ৫০.৪ শতাংশ। বাকি ৪৯.৬ শতাংশ ঘটনা অন্যান্য ২৩টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ উত্তরপ্রদেশে দেশে হওয়া আত্মহত্যার ৩.৬ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে৷
২০২১ সালে রাজধানী দিল্লি এবং সবচেয়ে জনবহুল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ২,৮৪০ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে, দেশের ৫৩টি বড় শহরে মোট ২৫,৮৯১টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে ওই তথ্য উঠে এসেছে।
মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যাকারী বিপুল সংখ্যক মানুষ কৃষক। মহারাষ্ট্র সরকার এই কৃষকদের আত্মহত্যার পিছনে কারণ খুঁজে বের করতে একটি নয়া উদ্যোগ শুরু করেছে। এবার থেকে সরকারি কর্মকর্তারা মাসে তিন দিন কৃষকদের সঙ্গে মাঠে কাটাবেন যাতে তারা বুঝতে পারেন কী পরিস্থিতিতে কৃষকরা আত্মহত্যা করেন। সেপ্টেম্বর থেকে এই উদ্যোগ শুরু হবে, যা তিন মাস পর্যন্ত চলবে।খবর পার্সটুডে /এনবিএস/২০২২ / একে


