‘দিদিকে বলো’ ফিরছে, সরকারি পোশাকে পুজোর পরই আত্মপ্রকাশ ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’র


প্রশান্ত কিশোর চলে গিয়েছেন। তিনি এখন আর বাংলায় নেই। রয়েছেন বিহারে। কিন্তু ‘দিদিকে বলো’ (Didi ke Bolo) ফিরছে!
পুজোর পর সরকারি পোশাকে একেবারে নতুন চেহারায় ফিরছে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে সরাসরি পৌঁছনোর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থার নাম কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। কিন্তু মোদ্দা থিম হল—মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন। তিনিই মুশকিল আসান। হাত বাড়ালে বন্ধুর মতো।

উনিশের লোকসভা ভোটে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূল জবরদস্ত ধাক্কা খেয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অনেকেই তখন ধরে নিয়েছিলেন, একুশে তৃণমূল বুঝি আর সরকারে ফিরবে না। সেই সংকট প্রহরে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নিতে শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক। প্রশান্ত স্পষ্ট করে তাঁদের দেখিয়েছিলেন, ব্র্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কোনও আঁচড় লাগেনি। আসল সমস্যা হল বিচ্ছিন্নতার। তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতার ব্যবহার ও আচরণের মধ্যে মেদ জন্মেছে। মানুষের সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। সুতরাং যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, তা ওই নেতাদের উপর। মমতার উপর নয়।

এই ভাবনা থেকেই উনিশ সালে ভোটের পরপরই পিকে ‘দিদিকে বলো’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন বাংলায়। সেই প্রয়াসের খবর সবার আগে প্রকাশিত হয়েছিল দ্য ওয়ালে (thewall.in)। কিন্তু এবার যে ক্যাম্পেইন শুরু করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে আই-প্যাকের কোনও ভূমিকা থাকবে না। তা হবে পুরোদস্তুর সরকারি কর্মসূচি। অনেকটা দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধানের মতো কর্মসূচি। যা এবার সরাসরি যোগসূত্র তৈরি করবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মানুষের।

প্রশ্ন উঠতে পারে এই কর্মসূচি কতটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারবে? আদৌ কি তাতে সাধারণের সমস্যার সমাধান সম্ভব?জেনে রাখা ভাল, সাধারণের অভিযোগ শোনা ও তা নিরসনের জন্য গত প্রায় তিন বছর ধরে নবান্নে একটি দফতর রয়েছে। যার নাম মনিটরিং অ্যান্ড গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল সেল। সিনিয়র আইপিএস অফিসার পি বি সেলিম তার নেতৃত্বে রয়েছেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকেই আরও প্রাতিষ্ঠানিক তথা ইনস্টিটিউশাল চেহারা দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, মানুষের অভিযোগ ও সমস্যা শোনার জন্য একটি বিশাল আয়তনের কন্ট্রোল রুম খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অতি আধুনিক করার লক্ষ্য রয়েছে নবান্নের। তার পাশাপাশি এই কর্মসূচির জন্য টেন্ডার ডেকে দুটো এজেন্সি নিয়োগ করা হবে। প্রথম এজেন্সি নিয়োগ করা হবে কন্ট্রোল রুম ম্যানিংয়ের জন্য। অর্থাৎ যারা মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনবে। তার পর সেই ডেটা তাঁরা দায়িত্বশীল আমলা, অফিসার ও পুলিশের কাছে পাঠাবে। দ্বিতীয় টেন্ডার ডাকা হবে অন্য একটি এজেন্সি নিয়োগের জন্য। যারা ফিল্ড স্টাফ নিয়োগ করবে। তাদের কাজ হবে, যে অভিযোগগুলো আসছে তা যাচাই করে দেখা ।
খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে

news