মোবাইল গেমিংয়ের নামে লোক ঠকিয়ে আমির গার্ডেনরিচের খান, নোট গুণতে গুণতে জানাল ইডি


গরিব ও সাধারণের টাকা মেরেই গার্ডেনরিচের নিসার আহমেদ খানের ছেলে রাতারাতি ‘আমির’ হয়ে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানাল ইডি (ED Kolkata Raid)!
কে এই আমির? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি জানিয়েছে, গার্ডেনরিচ (Garden Reach) এলাকার ট্রাভেলের ব্যবসা করেন নিসার আহমেদ খান। তাঁর ছেলে হল আমির। বছর কয়েক আগে এই আমির মানুষ ঠকানোর কারবার শুরু করেছিল। ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন (Mobile gaming app) শুরু করেছিল আমির। কিন্তু সেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তথা অ্যাপের আসল উদ্দেশ্য ছিল জালিয়াতি করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
ইডি জানিয়েছে, শুরুতে ইউজারদের বা গেমিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের রিওয়ার্ড পয়েন্ট হিসাবে কমিশন দিত ই-নাগেটস। অ্যাপের মাধ্যমে বলা হত যে ওই রিওয়ার্ড ওয়ালেটে জমা হচ্ছে। তার পর ওয়ালেট থেকে তা সহজেই তোলা যাবে।

ইডি জানিয়েছে, আসলে এটা ছিল মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা মাত্র। আসল উদ্দেশ্য ছিল অসৎ। এর পর অনেকেই বড় কমিশনের লোভে আরও বেশি টাকার কেনাকাটা শুরু করেন এই গেমিং অ্যাপ থেকে। এভাবে প্রচুর লোকের থেকে টাকা আদায় করেছিল আমির। তার পর হঠাৎ ওই গেমিং অ্যাপ বন্ধ করে দেয়। তখন অ্যাপে বলা হয় যে সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে। কিন্তু সেই অছিলায় সার্ভার থেকে সব ডেটা মুছে দেওয়া হয়।
বেআইনি টাকা লেনদেনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে কলকাতার ৬ জায়গায় একই সঙ্গে তল্লাশিতে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত কারবারের সূত্র ধরেই এই তল্লাশি চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি দুপুর ২ টো নাগাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এর মধ্যে একটি জায়গা থেকে বিপুল নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকার গণনা চলছে। আপাতত ৭ কোটি টাকা গোণা হয়েছে।
নিসার আহমেদ খান তথা আমি খানের বাড়ি থেকে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খাটের তলায় প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা ছিল ওই টাকা। ইডি জানিয়েছে, ফেডারেল ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি আমির খান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি জালিয়াতি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে ইডি। তার খুঁড়তে খুঁড়তে মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশনের আড়ালে গোটা জালিয়াতির হদিশ পায়। খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে

news