পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসায় শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের স্মারকলিপি পেশ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে স্মারকলিপি দিল সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।
আজ (মঙ্গলবার) সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘প্রায় একদশক ধরে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার ফলে পঠনপাঠনে চূড়ান্তভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বহু মাদ্রাসায় যা পদ আছে, তার একাংশও শিক্ষক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজকে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দফতরে গিয়েছিলাম যাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মাদ্রাসাগুলোর যে ইসলামী ঐতিহ্য আছে, সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিধি অনুযায়ী ইসলামিক স্টাডিজ এবং কালচার সমৃদ্ধ জ্ঞান আছে তেমন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সার্ভিস কমিশন ওই বিষয়ে চূড়ান্ত অবজ্ঞার মধ্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করছে। এরফলে মাদ্রাসাগুলোয় পড়াশোনা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনই মাদ্রাসার যে নিজেস্ব পরিবেশ ও নিজেস্ব সংস্কৃতি, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেটাও ব্যাহত হচ্ছে।’
এসব ইস্যুতে ৯ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দফতরে প্রদান করা হয়েছে বলেও সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান মন্তব্য করেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ‘রাজ্যের মাদ্রাসাগুলো শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। বিশেষ করে এবছরের জেনারেল ট্রান্সফার হওয়ার পর মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ সমস্ত উত্তরবঙ্গ ও গ্রামীণ এলাকার মাদ্রাসাগুলো শিক্ষকের অভাবে ভুগছে। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৩৫: ১ জন হওয়া উচিত। কিন্তু মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর যেখানে মাদ্রাসার সংখ্যা সর্বাধিক সেখানে এই অনুপাত গড়ে ১০০ : ১ -এর থেকেও অনেক বেশি। বহু মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ খালি পড়ে আছে। শিক্ষকের অভাবে মাদ্রাসাগুলো কার্যত মৃতপ্রায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বহু মাদ্রাসায় শিক্ষাকর্মী পদ ফাঁকা। শিক্ষকের অভাবে রাজ্যের বহু মাদ্রাসা বন্ধ হতে চলেছে। এমতাবস্থায় তারা রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাঁচাতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন’বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আজ স্মারকলিপি প্রদানে প্রতিনিধি দলে সাড়া বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাশেমী, সহসম্পাদক ও শিক্ষক আলি আকবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মাওলানা ইলাহি বক্স এবং কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াউর রহমান গাইন।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


