অভিনব কায়দায় গয়নার শোরুমে লুঠ, ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করল পুলিশ
ডাকাতির (robbery) পর কখনই ব্যবহার করত না মোবাইল (mobile) ফোন। গণ পরিবহনে পৌঁছে যেত ভিন রাজ্যে। বিহার গ্যাং এর এই কৌশল জেনেই ডানকুনির জুয়েলারি শোরুমে (jewellery showroom) দুঃসাহসিক ডাকাতির পর ফেরার দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল চন্দননগরের গোয়েন্দারা। ২৫ কেজি সোনার গয়না লুঠ করে গা ঢাকা দেওয়া দুই দুষ্কৃতী কৃষ্ণা দাস ওরফে বেহেরা ও টেনিয়া চৌধুরী ওরফে টেনিকে উড়িষ্যা-তেলেঙ্গানা (Telengana border) বর্ডার থেকে গ্রেফতার (arrest) করে চন্দননগর পুলিশ (police)। ধৃতদের বুধবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিনে দুপুরে ডানকুনির টি এন মুখার্জি রোডে একটি জুয়েলারি শোরুমে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিরাপত্তা রক্ষী ও দোকানের ক্রেতাদের একটা ঘরে আটকে রেখে সোনাদানা লুঠ করে পালিয়ে যায়। দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরাতে এই ঘটনা ধরা পড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দোকানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এরপরেই নাকা তল্লাশি চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোঘাট থানার খাটুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বাকি দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
বুধবার চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, ঘটনায় মূল পান্ডা দুজনকে ওড়িশা- তেলেঙ্গানা সীমান্তের বৌধ জেলার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুট হওয়া ২৫ কেজি সোনা, প্লাটিনাম ও হিরে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণের রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে তারা বিহারে গিয়েছিল। পুলিশ পিছু নিয়েছে বুঝতে পেরেই তারা ওড়িশায় চলে যায়। সেখান থেকে বাসে করে তারা পালানোর চেষ্টা করছিল।
তিনি জানান, এই ডাকাত দলটি মূলত ব্যাঙ্ক আর সোনার দোকানে ডাকাতি করত। ছত্তিশগড়, বিহার, ওড়িশা ও তেলেঙ্গনাতেও একাধিক ডাকাতি করেছে দলটি। পেশাদার এই ডাকাতরা অপরাধ করার পর মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। গণ-পরিবহন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেত। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তল্লাশি চালিয়েই দুই দুষ্কৃতীর নাগাল পেয়ে যায় চন্দননগর পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে


