আসামী কেষ্ট, সাক্ষী শতাব্দী, সিবিআইয়ের চার্জশিট যেন বীরভূম তৃণমূলের সমীকরণ

শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) বীরভূম কেন্দ্রে তিনবারের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)। এই ১৩ বছরে বীরভূমের রাজনীতিতে তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সংঘাত, মনকষাকষি, বাকযুদ্ধ—সর্বজনবিদিত। কখনও অনুব্রত প্রকাশ্যেই বলেছেন, শতাব্দী রায়টা আবার কে? আবার অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে—কারও মাথায় অক্সিজেন কম গেলে আমি কী করতে পারি?

সেই অনুব্রত এখন গরু পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন। আর সিবিআই (CBI) কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট (Charge sheet) জমা দিয়েছে তাতে নাকি সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায়ের।

আসানসোল আদালতে সিবিআই ৯৬ জন সাক্ষীর নাম দিয়েছে বলে খবর। তাতে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে শতাব্দীর। তাছাড়া একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম রয়েছে সাক্ষীদের তালিকায়। এই ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকার আমানত গচ্ছিত ছিল অনুব্রতর মেয়ে, তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর নামে। এমনকি বিদ্যুৎ বরণ গায়েনেরও একাধিক অ্যাকাউন্ট ছিল এই ব্যাঙ্কের শাখায়। যেখানে আবার কয়েকদিন আগে আগুনও লেগেছিল।  


সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, তারা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। কী রয়েছে সেই বয়ানে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে অনুব্রত মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ।

এরমধ্যে অবশ্য বীরভূমের খয়রাশোলের একটি সভায় অনুব্রতর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শতাব্দী। তিনি বলেছিলেন, কেষ্টদা যেমন দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেন এখন তাঁর পাশেও দলকে দাঁড়াতে হবে। অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁকে জেল থেকে বীরের সম্মান দিয়ে বার করে আনার বার্তা দিয়েছেন, প্রকাশ্য সভায় সেই সুরই অনুরণিত হয়েছে শতাব্দীর গলায়। কিন্তু সিবিআইকে তিনি কী বয়ান দিয়েছেন তা নিয়ে দলের মধ্যেও কৌতূহল রয়েছে।
খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে

news