ওসি লতিফের নামে সংকল্প করে পুজো শুরু হয় পুঞ্চার চরণপাহাড়ি কালী মন্দিরে

 পুরুলিয়া: স্বপ্নাদেশ পেয়ে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের হাতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেবীর। এবং তাঁর নামেই প্রথম সংকল্প করে শুরু হয়েছিল এই মন্দিরের কালীপুজো (Kali puja)। তারপর থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নিদর্শন পুরুলিয়ার পুঞ্চার (Purulia puncha) চরণপাহাড়ি কালীমন্দির (Kali temple)।
যতদিন গেছে পুজোর বিস্তার বেড়েছে আরও। প্রতি বছর জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ সামিল হন এই মন্দিরের কালীপুজোয়। মায়ের পুজো হয় সারা বছরই। তবে কালীপুজোর ক’টা দিন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জেলা ছাড়িয়ে ভিনজেলা থেকেও বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ এখানে এসে ভিড় জমান।
কথিত, ৭২ বছর আগে তৎকালীন পুঞ্চা থানার দায়িত্বে থাকা ওসি জি টি লতিফ মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে থানা সংলগ্ন একটি টিলাতে পৌঁছন। যেখানে একটি প্রস্তরখণ্ডের উপর মায়ের পদচিহ্ন দেখতে পান তিনি। এলাকাবাসী মা কালীর আরাধনা শুরু করেন। ধীরে ধীরে ওই টিলাই মন্দিরের চেহারা নিয়েছে। প্রস্তরখণ্ডের উপর থাকা দেবীর পদচিহ্ন ও কষ্টি পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তির পুজো হয় এখানে।  
ভিন্ন ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষের হাতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া পুরুলিয়ার এই দেবী আরাধনা স্থল সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলেছে গোটা রাজ্যেই।


খবর দ্য ‍ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/এক

news