তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে সাসপেন্ডের দাবিতে বিজেপি বিধায়কদের ওয়াকআউট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত (রোববার) মালদহের রতুয়ায় এক দলীয় সভায় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘মমতাকে ‘শূর্পণখা’ বললে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘দুর্যোধন-দুঃশাসন’ বলব।’ এর পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতার জন্য গুজরাটের কোনও অবদান নেই বলে দাবি করেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তার এ ধরণের মন্তব্যের তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।
স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটের অবদান নেই বলে অভিযোগ সাবিত্রী মিত্রের। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনেই হলেন গুজরাটের। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাদেরকে নিশানা করে বলেন, ‘গুজরাট থেকে মোদী-শাহ এসেছেন। ওদের দলের কোনও ভূমিকা ছিল না। ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলার অধিকার ওদের নেই। কংগ্রেস ও তৃণমূলের এ কথা বলার অধিকার রয়েছে।’
আজ (মঙ্গলবার) বিধানসভার অধিবেশনে ওই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির আনা এই মুলতুবি প্রস্তাব ‘রাজ্যের বিষয় নয়’ বলে খারিজ করে দেন করেন স্পিকার।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান কী ভাবে রাজ্যের বিষয় নয়? স্পিকার সাফ জানিয় দেন, এটা বিধানসভার বিষয় নয়।
বিতর্কিত মন্তব্য করা মালদহের মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে বলেছি। বিরোধী দলনেতা আমাকে ভুল উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন। আমি বলিনি, স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটিদের ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্পর্কে জানেন না।’
আজ বিজেপি বিধায়করা তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে সাসপেন্ডের দাবি জানান। বিধানসভায় ওই ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তৃণমূলের শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের সঙ্গে বিতর্ক বাধে বিজেপি বিধায়কদের। পরে বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
।খবর পার্সটৃুডে/এনবিএস/২০২২/একে


