শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের জের, দেশে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন চাই, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডে শিক্ষা নিয়ে দেশে ‘লাভ জেহাদ’ (Love Jihad) বিরোধী কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে। বুধবার দাবি তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad)। ভিএইচপি নেতাদের বক্তব্য, এতদিনে স্পষ্ট যে লাভ জেহাদের জন্যই শ্রদ্ধাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল আফতাব (Aftab Amin Poonawalla)। দিল্লি-সহ (Delhi) গোটা দেশে এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। অতএব, এই বিষয়ে দ্রুত আইন প্রণয়ন জরুরি। যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।
ভিএইচপির দাবি, শুধু দিল্লিতে গত ১০ বছরে লাভ জিহাদের অভিযোগ উঠেছে ৪২০টি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, “আফতাবের ২০ জন বান্ধবী ছিল। প্রত্যেকে হিন্দু। এর থেকেই স্পষ্ট যে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করেছিল সে।” এই ধরনের ঘটনা রুখতে আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি ‘ধর্ম রক্ষা’ কার্যক্রম চালাবে গেরুয়া দলটি। ভিএইচপি-র মহিলা শাখা লাভ জেহাদ বিরোধী এই সচেতনতা প্রচার চালাবে।
এদিকে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পর তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করায় কোনও আক্ষেপ নেই অভিযুক্তের। শ্রদ্ধাকে খুনের কথা নির্লিপ্ত ভাবে স্বীকার করে সে। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের আধিকারিকরা জানান, পলিগ্রাফ টেস্টে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের (Shraddha Murder Case) কথা স্বীকার করেছে আফতাব। এমনকী নিজের লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসার কথাও মেনে নিয়েছে অভিযুক্ত। একাধিক মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেনি সে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তার কোনও আক্ষেপ নেই বলেও জানিয়ে দেয় আফতাব। ল্যাব আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় স্বাভাবিক আচরণই করছিল সে। শান্ত ভাবে শ্রদ্ধা খুনের গোটা ঘটনা খুলে বলেছে।
চলতি বছর ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। প্রথমে তা রেখে দেয় ফ্রিজে। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে