হিমাচলে জয়ের কৃতিত্ব ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিচ্ছেন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কার প্রশংসায় অন্য নেতারা
গুজরাটে ভরাডুবির দিন হিমাচলে কোনও মতে মানরক্ষা হয়েছে কংগ্রেসের (Congress)। বলা ভাল, হিমাচলের ৩৮ বছরের রীতি মেনে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। প্রতিভা সিং পাতিলের নেতৃত্বে পাহাড়ি রাজ্যটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামান্য বেশি আসন পেয়েছে হাত শিবির। কিন্তু এই জয়ের কৃতিত্ব কার? তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই যেন দ্বিমত তৈরি হয়ে গিয়েছে।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি এই জয়ের কৃতিত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’কে (Bharat Jodo Yatra)। অথচ ভুপেশ বাঘেলের মতো বড় নেতারা বলছেন, হিমাচলে জয়ের কৃতিত্ব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) নিজে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই কংগ্রেসের প্রথম জয়। খাড়গে নিজে হিমাচলে প্রচারেও গিয়েছেন। সেদিক থেকে হিমাচলের জয়ের কৃতিত্ব যদি কোনও কেন্দ্রীয় নেতার প্রাপ্য হয়ে থাকে, তাহলে সেটা খাড়গের নিজের। অথচ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি এই জয়ের কৃতিত্ব নিজেকে না দিয়ে পুরোটাই দিচ্ছেন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রাকে। অথচ, গোটা প্রচারপর্বে হিমাচলে পা-ই রাখেননি রাহুল।
খাড়গের বক্তব্য, হিমাচলের এই জয় দলের কর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টার ফল। হিমাচল প্রদেশে দারুণ প্রভাব পড়েছে ভারত জোড়ো যাত্রার। রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) ধন্যবাদ। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে, হিমাচলে জয়ের কৃতিত্ব যদি ভারত জোড়ো যাত্রার হয়ে থাকে, তাহলে গুজরাটে হারের দায় কেন রাহুল গান্ধী নেবেন না? এ প্রসঙ্গ খানিক এড়িয়ে গিয়ে খাড়গে বলে দিচ্ছেন, গণতন্ত্রে তো হার-জিত থাকেই। আমরা গুজরাটের জনতাকে ধন্যবাদ জানাই।
খাড়গে জয়ের কৃতিত্ব ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিলেও, অন্য নেতারা বেশিরভাগ কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই। রাজীব শুক্লা যেমন সোজা বলে দিচ্ছেন, প্রিয়াঙ্কার প্রচার এবং তাঁর মস্তিস্কপ্রসূত প্রতিশ্রুতি মানুষের সামনে তুলে ধরেই সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস। বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মাও এই জয়ের কৃতিত্ব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, প্রিয়াঙ্কার লড়াকু মানসিকতাই কংগ্রেসকে জিততে সাহায্য করেছে।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে