মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত পড়ুয়াদের দেখতে এলেন স্বাস্থ্য সচিব, ডিসি! আড়াই ঘণ্টা চলল মিটিং
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোমবার দুপুর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College Hospital)। সোমবার দুপুর থেকেই অধ্যক্ষ সহ ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তুলে নেওয়া হয় সেই ঘেরাও। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে (hunger strike) বসেছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ার। তারপর ৬০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও ওঠেনি আন্দোলন। তার মধ্যেই শনিবার রাতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক সেরে গেলেন লালবাজারের ডিসি সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং স্বাস্থ্য সচিব।
শনিবার রাতে আন্দোলনরত পড়ুয়া এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হন ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সূত্রের খবর, দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অধ্যক্ষের সঙ্গে মিটিং চলে স্বাস্থ্য সচিব এবং ডিসির। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনরত ৪ পড়ুয়া।
আগামী ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অনশনে বসেন রণবীর, সাবির, কৌশিক, প্রত্যূষ এবং ঋতম নামে ৫ জন হবু চিকিৎসক। কিন্তু শনিবারের মধ্যেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে দুজনের। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নবান্নকে জানানো হয়েছে। তাই নবান্ন থেকেই সশরীরে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং লালবাজারের ডিসিকে।
মিটিং সেরে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের প্রেসার চেক করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তবে মিটিংয়ে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও রকম মুখ খোলেননি কেউই।
অনশনরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সচিব তাঁদের কাছে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগে একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষ সঙ্গে কথা বলেও তাঁরা কোনও সদুত্তর পাননি বলে জানিয়েছেন। যতদিন না উত্তর মিলছে, ততদিন পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি থাকবে অনশন। এছাড়াও অধ্যক্ষের উপস্থিতিতেই কলেজের কাউন্সিল রুমে মিটিং চলাকালীন এক আন্দোলনরত পড়ুয়াকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক চিকিৎসক-শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি আর ছাত্রের গলা টিপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা। উক্ত শিক্ষক তোকে দেয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে


