কে পাপ্পু?’, দেশের অর্থনীতি, হিমাচলে হার নিয়ে সংসদে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ মহুয়ার

গতকাল সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমণ (Nirmala Sitharaman) বিরোধীদের কটাক্ষ করেন, গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারত। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি দেখে হিংসায় জ্বলছে বিরোধীরা। যদিও বুধবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাভাষণে’র অভিযোগ আনলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। বলেন, অর্থনীতি দারুণ চলছে, প্রতি ফেব্রুয়ারি মাসে দেশবাসীকে এই বিশ্বাস দেওয়া হয়। অথচ গ্যাস সিলিন্ডার, বাড়ি নির্মাণ, বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা হয় নাগরিকদের। অন্যদিকে বাজেট ঘোষণার আট মাস পর খোদ মোদি সরকার বলছে, কেন্দ্রীয় বাজেটের বাইরে আরও ৩.২৬ লক্ষ কোটি টাকা প্রয়োজন সরকারের।

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজনের বিষয়টিকে সামনে রেখে মিথ্যাভাষণের অভিযোগ আনেন মহুয়া। তৃণমূল নেত্রীর মতে দেশের অর্থনীতি ভাল নেই। কটাক্ষের সুরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এই বিষয়ে নজর দিতে বলেন। বিখ্যাত লেখক জোনথন সুইফটকে উল্লেখ করেন। বলেন, “সবচেয়ে খারাপ লেখকেরও পাঠক থাকে, সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদীরকেও কেউ কেউ বিশ্বাস করেন।” এরপরে ‘পাপ্পু’ তোপ দাগেন। বলেন, “আপনারা ‘পাপ্পু’ শব্দবন্ধটিকে ব্যবহার করে থাকেন। যার অর্থ অযোগ্যতম, যাকে দিয়ে কিছু হবে না। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে কে প্রকৃত ‘পাপ্পু’।”


এই পর্বে ন্যাশানাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের (NSA) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা। নেত্রী দাবি করেন, অক্টোবরে দেশের শিল্প উৎপাদনের হার চার শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা গত ২৬ মাসে সর্বনিম্ন। উৎপাদন ক্ষেত্র ৫.৬ শতাংশে সংকুচিত হয়েছে৷ যেটি দেশে কর্মসংস্থানের অন্যতম জায়গা। এদিন হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হার নিয়েও কটাক্ষ করেন মহুয়া। তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, শাসক দলের প্রেসিডেন্টের নিজের রাজ্যেও হারতে হল গেরুয়া শিবিরকে। মহুয়ার প্রশ্ন, “এখন কে পাপ্পু?” এছাড়াও সংসদকে তিনি জানান, অসংখ্য মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন। বিষয়টি ক্রমবর্ধমান। এই বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। 


প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম অর্ধে ৩৩৪২ কোটি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে ভারত। ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দামে যখন রোজই মুখ থুবড়ে পড়ছে, তখন কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, টাকার দামে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপে বাধ‌্য হয়েছে আরবিআই (RBI)।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news