হিন্দু যুবকেরা মুসলিম সেজে অযোধ্যায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিল, বলল যোগীর পুলিশ
মন্দিরনগরী অযোধ্যায় (Ayodhya) গত বুধবার সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা ঠেকানো গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এর নেপথ্য কারণ হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ যা সামনে আনল তা কম সাংঘাতিক নয়।
ওইদিনের ঘটনায় অভিযুক্ত মোট ১১ জন। তাদের মধ্যে সাত জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি চার জনের খোঁজে তল্লাশিও চলছে। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, হিন্দু যুবকরা মাথায় ফেজ টুপি পরে মুসলিম সেজে ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। যাতে এই ধারণা তৈরি করা যায়, মুসলিমরাই অযোধ্যায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহেশ কুমার মিশ্র, প্রত্যুষ শ্রীবাস্তব, নীতিন কুমার, দীপক কুমার, গুঞ্জন, ব্রজেশ পাণ্ডে, শত্রুঘ্ন প্রজাপতি এবং বিমল পাণ্ডে।
অযোধ্যার একটি মসজিদের বাইরে হিন্দু ধর্মগ্রন্থের উপর কাঁচা মাংস ছড়িয়ে রাখা ছিল। সাম্প্রদায়িক হিংসা তৈরির পুরনো ছকেই এই ১১ জন সেই কাজ করেছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তারা। তারপর অযোধ্যা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গিরপুরীর মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল অযোধ্যায়। এমনিতেই অযোধ্যার নিরাপত্তাবলয় নিশ্ছিদ্র। এই ঘটনার পর তা আরও বাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশের আরও দাবি, গত শনিবার থেকেই বিক্ষিপ্ত কয়েকজন অযোধ্যার মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তা সংগঠিত ভাবে করে তারা। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতেও। এদিন নেপথ্য কাহিনি সামনে আনল যোগীর পুলিশ।খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে