সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, ধর্ষকদের আগাম মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিস বানোর আবেদন খারিজ
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন বিলকিস বানো। ২০০২ সালে গণধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদন শনিবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়। ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরেই দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। কিন্তু এদিন তাঁর আরজি খারিজ করে দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালের সাজা মকুব করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের মে মাসের সেই সিদ্ধান্তের জেরেই আগস্ট মাসে ১১ জন ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আবেদন করেন বিলকিস (Bilkis Bano)। তবে বিলকিস একা নন, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কাই খেলেন বিলকিস।
প্রসঙ্গত, বিলকিস দাবি করেছিলেন, ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার খবরে তিনি হতবাক। পিটিশনে বলা হয়েছিল, গোটা দেশ যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, তখন সব অপরাধীদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়। প্রকাশ্যে তাদের সংবর্ধনা জানিয়ে মালা পরানো হয়। মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তাতেই বিলকিস তথা দেশ ও দুনিয়া জানতে পারে যে জঘন্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার শুনানির আবেদন করেন বিলকিসের আইনজীবী। কিন্তু তাঁর আবেদনের ইতিবাচক সাড়া মিলল না।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/ ২০২২/একে


