২০১৯ সালের পর থেকে ১৪ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে! বলছে বিএসএফ 

২০১৯ সালের পরে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে ফের সে দেশে পাঠানো হয়েছে। এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিএসএফের এক রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, ভারতে ঢোকার চেষ্টাও আটকানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনআইএ জানাচ্ছে, নুন্যতম এমন ৯২৩৩ জন বাংলাদেশিকে আন্তজাত্তিক সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে।

 এই সমস্ত বাংলাদেশিরা ভারতে অবৈধভাবে থেকে ফের পালানোর চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। জরুরি তথ্য- শুধু তাই নয়, রিপোর্ট বলছে ১ লা জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০২২ সাল পর্যন্ত নুন্যতম ৪৮৯৬ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে ঢোকার সময়ে আটক করা হয়। আর এভাবেই মোট ১৪,৩৬১ বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্তে আটক করা হয়। 
এমনটাই দাবি করা হয়েছে প্রকাশিত খবরে। কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ঢোকে এবং পালায় বিএসএএফের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কিংবা এখান থেকে পালানো প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি মানুষই দক্ষিণ প্রান্তে কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ঢোকে এবং পালায়।
 শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকায় নদী থাকার বিষয়টি ভারতে এবং পালানোর রুট হিসাবে তাঁরা ব্যবহার করে বলেও জানাচ্ছেন বিএসএফের ওই আধিকারিক। সুন্দরবন থেকে মালদহ এই বিশাল অঞ্চলটি অবৈধ যাতায়াতের রুট বলেও দাবি বিজেপির। ৪০৯৬ কিলোমিটার লম্বা ভারত-বাংলাদেশ সীমা- ভারত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ৪,০৯৬ কিলোমিটার লম্বা সীমানা রয়েছে।
 এরমধ্যে সাউথ বেঙ্গলজুড়ে রয়েছে ৯১৩.৩২ কিলোমিটার সীমান্ত। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ কিংবা এরথেকে বেশি এলাকাতে কাঁটা তার নেই কিংবা নদীর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামও রয়েছে। অনেক সময়েই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে অনুপ্রেবেশ ঠেকানোটা বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় বলে মনে করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোজগারের জন্যেই অনুপ্রবেশ করে থাকে- আইনকে বুড় আঙুল দেখিয়ে সীমান্ত পার করে এমন বেশীর ভাগ মানুষ জীবন-জীবিকা জন্যে।
 ডিসেম্বর ২০১৯ সালে, সাংসদ Citizenship (Amendment) Act-তে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর থেকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পের হওয়ার বিষয়টি আরও বেড়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে শুধুমাত্র ১,২১৪ জন মানুষ ভারতে সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। যেখানে ৩৪৬৩ জন দেশ ছাড়ে। খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে

news