কুঁড়ি থেকে তিন দিনেই পরিণত হচ্ছে কাঁচালঙ্কা! দেদার রাসায়নিক স্প্রে ডাকছে বিপদ

লঙ্কা গাছে (Chilli Farming) কুঁড়ি আসার পর সেই লঙ্কা বড় ও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠতে সময় লেগে যায় প্রায় সপ্তাহ দুয়েক। কিন্তু গঙ্গারামপুরের (South Dinajpur) লঙ্কায় যেন ম্যাজিক হচ্ছে। গাছে কুঁড়ি আসার মাত্র তিন দিনের মধ্যে পরিণত লঙ্কা হাতে পেয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। পাইকারি বাজারে দেদার বিকোচ্ছে সেই লঙ্কা। লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে উৎপাদনকারীদের।

বলা বাহুল্য এই অসম্ভব ঘটনার পিছনে রয়েছে কারচুপি। কুঁড়ি অবস্থাতেই লঙ্কায় (Chilli Farming) দেদার রাসায়নিক স্প্রে করছেন চাষিরা। যার ফলে মাত্র তিনদিনেই লঙ্কা পরিণত হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থেকে সেই লঙ্কা যাচ্ছে পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে। লঙ্কা যাচ্ছে বিহারেও।

বাজারে এখন লঙ্কা (Chilli Farming) কেজি প্রতি বিকোচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। কিন্তু সেই লঙ্কা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ফলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের তরফে চাষিদের সচেতন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। চাষিদের বোঝানো হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে লঙ্কা চাষ বিজ্ঞানসম্মত নয়, এতে যাঁরা সেই লঙ্কা খাবেন তাঁদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

শুধু কুঁড়ি অবস্থায় রাসায়নিক স্প্রে-ই নয়, লঙ্কাগাছ ভাল রাখতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনও গাছে দিচ্ছেন চাষিরা। এতে গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠছে ঠিকই, কিন্তু আদতে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, এই ধরনের অত্যধিক রাসায়নিক যুক্ত লঙ্কা চাষিরা নিজেরাই খান না। গ্রামের মানুষ যাঁরা চাষের পদ্ধতি জানেন তাঁরাও এই লঙ্কা খান না। এতে পেটের অসুখ তো হবেই, ক্যানসারের প্রবণতাও থাকে। অবিলম্বে লঙ্কায় এমন অবৈজ্ঞানিকভাবে রাসায়নিক প্রয়োগ বন্ধ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২

news