দুষ্কৃতীর খোঁজে হোটেলে তল্লাশির সময় দক্ষিণেশ্বরে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ সিভিক ভলান্টিয়ার
দক্ষিণেশ্বরে শুটআউট। দুষ্কৃতীর খোঁজে দক্ষিণেশ্বর মন্দির লাগোয়া হোটেলে তল্লাশির সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। তাতে জখম হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গুলিবিদ্ধ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রহড়া থানার খড়দহ ডাঙাদিঘলা এলাকায় প্লাস্টিক কারখানায় কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, গভীর রাতে জনাপাঁচেক দুষ্কৃতী কারখানার ভিতরে ঢোকে। রাতে থাকা কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একটি ঘরে বেঁধে রাখা হয়। এরপর ক্যাশ বাক্স থেকে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা লুঠ করে ওই দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা কারখানার দরজা বাইরে থেকে আটকে চম্পট দেয়। কারা লুটপাট চালাল তার তদন্তে নামে রহড়া থানার পুলিশ।
এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিন দুষ্কৃতী শুক্রবার সকালে দক্ষিণেশ্বর-আদ্যাপীঠ এলাকার একটি হোটেলে গা ঢাকা দেয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘর ভাড়া নেয় তিন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে সে খবর পুলিশের কানে আসে। বিকেল তিনটে নাগাদ রহড়া থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই হোটেলে যায়। রিসেপশনিস্টকে এক দুষ্কৃতীর ছবি দেখায় পুলিশ। হোটেলের দোতলার ২০৯ নম্বর ঘরে ওই দুষ্কৃতী রয়েছে বলেই জানান রিসেপশনিস্ট। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হোটেলের দোতলায় উঠে যায়। রিসেপশনিস্ট তারপরই গুলির শব্দ পান। দৌড়ে যান তিনি। দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোটেলের ঘরের মধ্যেই পড়ে রয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুষ্কৃতীরা পর্যটকদের ভিড়ে মিশে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। যদিও তা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তিন দুষ্কৃতীকেই পাকড়াও করেছে। তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত পর্যটকরাও।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২৩/একে


