দিল্লি বিধানসভায় হট্টগোল : ‘এলজি’র বিরুদ্ধে স্লোগান আপের

ভারতের দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টি (আপ) ও বিজেপি বিধায়কদের পাল্টাপাল্টি স্লোগানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে।

আজ (সোমবার) সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। বিধানসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাথে সাথে ‘আপ’ বিধায়করা দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিকে সাক্সেনার  বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে পৌঁছে যান।

এ সময়ে বিরোধী দল বিজেপি বিজেপি বিধায়করাও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তুমুল হট্টগোলের পর অধিবেশনের কার্যক্রম ১০ মিনিটের জন্য মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে বিজেপি বিধায়করা প্ল্যাকার্ড বহন করে ওয়েলের কাছে পৌঁছান এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।      

‘এলজি’র বিরুদ্ধে ‘আপ’ বিধায়কদের বিক্ষোভ আজ ‘আপ’ বিধায়করা দিল্লি বিধানসভা থেকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের (এলজি) দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও ওই মিছিলে শামিল হন। কিন্তু এলজি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে রাজি হননি।    

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘সব বিধায়ক আমার সঙ্গে এলজি হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে এলজি দিল্লি সরকারের মন্ত্রি ও বিধায়কদের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন। আমরা দিল্লির ২ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। এটা ২ কোটি মানুষের অপমান। এ ধরনের মানসিকতা ঠিক নয়।’

কেজরিওয়াল আজ বলেন ‘এলজি’ যোগ ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষকদের ফিনল্যান্ডে যাওয়া বন্ধ করেছেন। মহল্লা ক্লিনিকের টাকাও তিনি আটকে রেখেছেন। স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ‘এলজি’র নেই। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল পুলিশ-জমি-পাবলিক অর্ডার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ‘এলজি’র রয়েছে। দিল্লি সরকার যে বিষয়েই পাঠাক তাতে ‘না’ বলার অধিকার ‘এলজি’র নেই। হয় তিনি হ্যাঁ বলবেন বা তিনি বিষয়টি রাষ্ট্রপতির  কাছে পাঠাবেন, কিন্তু ‘এলজি’ সংবিধান মেনে চলেন না। তার উচিত সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টকে মান্য করা। 

এর আগে, বিজেপি বিধায়করা অক্সিজেন মাস্ক পরে এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় পৌঁছান। তারা বলেন, দিল্লির মানুষ বিষাক্ত বাতাসে মরছে কিন্তু কেজরিওয়াল কিছুই করছেন না। তার পদত্যাগ করা উচিত। দিল্লি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি ও ‘আপ’ নেতাদের মধ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এরফলে চলতি বিধানসভার অধিবেশন উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে

news