ফুটপাতে চা, কাগজের ঠোঙা বিক্রি করে ছেলেকে বানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা, অধ্যাবসায় থাকলে সফলতা মাত্র সময়ের ব্যাপার। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। একবেলা ভাত জোটে তো পরের বলে রুটি। সেই ছেলে বাবা-মার ঘাম ঝাড়নো পরিশ্রম বিফলে যেতে দেয়নি জীবন যুদ্ধে জয়ী গাইবান্ধার চন্দ্র শেখর চৌহান।

বাবা মানিক চৌহান ফুটপাতে চায়ের দোকানী । দোকানে চা, পরোটা, পেঁয়াজু, শিঙাড়া বিক্রি করেন। মা মিনা চৌহানের কাগজের ঠোঙা বানানোর ব্যবসা। সেই ঠোঙা বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করে ছেলের পড়াশুনার পাশাপাশি সংসার ও চালান। তাদের বসবাস একটি মন্দিরের জমিতে। নিজেদের কোনো জমিজমা নেই, অভাব-অনটন সংসারের নিত্যসঙ্গী। গাইবান্ধা জেলা শহরের শনিমন্দির রোডে ওই শনিমন্দিরেই তাদের বসবাস। এরকম সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে তাদের ছেলে চন্দ্র শেখর চৌহান শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেন তিনি। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন চন্দ্র শেখর। স্নাতকোত্তরে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য তিনি ‘প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল’ও অর্জন করেছেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news