অতি ঝুঁকিপূর্ণ: ভেঙে ফেলতে হবে জবির চার ভবন

ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্পের আওতায় যে ৪২টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে হবে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ভবন রয়েছে। ভাষা শহীদ রফিক ভবন ও অবকাশ ভবন সহ বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট চারটি ভবন দুই মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

এর পূর্বে গত ১০ মার্চ রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন নগর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।  

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। দুই মাসের মধ্যে এসব ভবন ভাঙতে হবে অন্যথায় ব্যাবস্থা নিবে রাজউক।

জানা যায়, রাজধানীর ব্যস্ততম অংশ পুরান ঢাকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিদ্যাপীঠে একাডেমিক ও প্রশাসনিক চারটি ভবনই অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। তাই যেকোনো দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতা- কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সম্প্রতি সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণহানি এবং সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, রাজউক কোন চারটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলেছে তা আমাদেরকে চিহ্নিত করে দেয় নি। রাজউক থেকে চিঠি পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রসঙ্গত, দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্প (আরবান রেজিলিয়েন্স) এর আওতায় ২ হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের জরিপ চালানো হয় সম্প্রতি। এসব ভবনের মধ্যে ৫৭৯টির ‘প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ (পিইএ) করা হয়। এতে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়।

এনবিএস/ওডে/সি

news