গুচ্ছে থাকছে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়, সময়ক্ষেপণ রোধে কমবে মাইগ্রেশন সংখ্যা
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত পাস নাম্বার, আবেদন ফি, কেন্দ্র নির্বাচন,পরীক্ষা পদ্ধতি সহ অন্যান্য বিষয়ে গত বছরের অনুরূপ সিদ্ধান্ত থাকলেও দ্রুত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এবার মাইগ্রেশন সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী ১৮ এপ্রিল থকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন চলবে৷ আবেদন শেষে আগামী ২০ মে (শনিবার) মানবিক অনুষদ, ২৭ মে (শনিবার) বিজ্ঞান অনুষদ ও ৩ জুন (শনিবার) বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মত প্রতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এবারও পাস নাম্বার ৩০ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রদত্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী একটি মাত্র কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। তবে কমানো হয়েছে মাইগ্রেশন সংখ্যা। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবার মাত্র তিনটি মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া আবেদন ফি, ভুল উত্তরের জন্য নাম্বার কাটা, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা সাপেক্ষে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রেও গতবারের অনুরূপ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির জারিকৃত প্রজ্ঞাপন পেয়েছি। এর বাইরে যেহেতু যাবার সুযোগ নেই তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবছর গুচ্ছেই থাকছে৷ এবার সেকেন্ড টাইম থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা শেষে ৮জুনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে। আবেদনের জন্য বিভাগভিত্তিক যোগ্যতা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, ইতিমধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমরা সভায় সার্বিক দিক আলোচনা করেছি। বিজ্ঞপ্তিতে সব বিষয় উল্লেখ থাকবে৷ এবার ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক সমিতির দাবি ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চলতি বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিট ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়৷ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নেয়ার লক্ষ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। এছাড়া আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে না থাকতে মত প্রকাশ করে৷ তাই সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কেই গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে রাখতে গত ১৫ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
যার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গুচ্ছতেই থাকছে জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়।
এনবিএস/ওডে/সি


