মানসিভাবে ভেঙে পড়েছেন নির্যাতিত ইবি ছাত্রী

নিরাপত্তা না পেলে হলে ফেরা নিয়ে সংশয়ে আছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত ছাত্রী। তিনি এখন পাবনার আটঘরিয়ায় গ্রামের বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নির্যাতিত ছাত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

 বুধবার মোবাইলে তিনি জানান, ক্যাম্পাসের ছাত্র উপদেষ্টা বুধবার দেখা করতে বলেছেন। আমার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। সুস্থ থাকলে শনিবার পরিবারের কাউকে নিয়ে ক্যাম্পাসে যাব।
রোববার রাতে শেখ হাসিনা হলের গণরুমে তাকে নির্যাতন করা হয়। প্রাণনাশের হুমকিতে সোমবার হল ছেড়ে চলে যান।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে জানান, শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম আপুসহ আরো অন্তত ৭-৮ জন তাকে নির্যাতন করে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে।   

নির্যাতিত শিক্ষার্থী বলেন, পরিচিত এক সিনিয়র আপুর গেস্ট হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি আমি ওই হলে উঠি। বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি বলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী ক্ষিপ্ত হন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি প্রভোস্ট সম্পর্কে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলিয়ে রেকর্ড করা হয়। ঘটনা প্রকাশ করলে আমাকে হত্যা করে মরদেহ কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর হুমকি দেন অন্তরা চৌধুরী।

ঘটনার উপযুক্ত বিচার চেয়ে ওই ছাত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নির্যাতনের দৃশ্যগুলো মনে হলে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সাহস পাই না। ওদের নির্মমতা সবসময় চোখের সামনে ভাসে। যেকোনো সময় ধরে নিয়ে আবার নির্যাতন করতে পারে ।

ভ্যানচালক বাবার চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার এক বোন ঢাবিতে পড়াশোনা করেন, ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছোট ভাই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এনবিএস/ওডে/সি

news