ইবিতে সেদিনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন চার শিক্ষার্থী
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয় শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয় প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীকে মারধরসহ, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এ বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। তবে সেদিন রাতের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন ওই হলেরই চার শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণরুমের এক ছাত্রী বলেন, ‘১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নবীন ছাত্রীকে (ভুক্তভোগী) গণরুমের একটি কক্ষে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও চড়-থাপ্পড় মারা হয়। যে রুমে নির্যাতন করা হয় আমরা তার পাশের রুমে ছিলাম। একটি দেয়ালের ওপর এক হাত পরিমাণ ফাঁকা থাকায় সেখান দিয়ে সব কথা ও শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ওই মেয়েকে জোরে জোরে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। আমরা ওর কাতরানোর শব্দও শুনতে পাচ্ছিলাম। নির্যাতনের ভয়াবহতা আমাদের রুমের অনেকেই নিতে পারছিল না। তারা অন্য জায়গায় চলে যায়। আমরা কয়েকজন কান্না করতে থাকি। কিছু সময় বাইরে গিয়েও বসে ছিলাম। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নির্যাতনের পর একজন এসে বলে রুমের বাইরে নিয়ে যেতে।’
পাশের রুমে অবস্থানকারী আরেক ছাত্রী বলেন, ‘নির্যাতনকারীদের একজন পাশের বাকি তিনটা গণরুমের সবাইকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কেউ রুমের বাইরে বের হলে খবর আছে। এমনকি ওয়াশরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি। নির্যাতন রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকে। পরে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা থাকায় সে চেঁচিয়ে বললে নির্যাতনকারীরা ভুক্তভোগীকে হলের ডাইনিংরুমে নিয়ে যান।’
গণরুমের ছাত্রীদের ভাষ্য মতে, নির্যাতনকারীদের মধ্যে ফাইন আর্টস বিভাগের ছাত্রী হালিমা খাতুন উর্মি, আইন বিভাগের ছাত্রী ইশরাত জাহান মীম ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মুয়াবিয়াসহ কয়েকজন ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মীম বলেন, ‘আমি নির্যাতনের সময় ছিলাম না। আমার রুমেই ছিলাম। শুধু অন্তরা আপুর নির্দেশে আমি ও উর্মি ওই মেয়েকে ৩০৬ নম্বর রুম থেকে দোয়েল-১ নামের গণরুমে রেখে চলে আসি।’
এনবিএস/ওডে/সি


