দক্ষিণ আফ্রিকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ মিশনো প্রিগোশিন!
মরুভূমিতে রাইফেল হাতে ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। তবে সবকিছু আমাদের পছন্দমতো রয়েছে। ভাগনার সব মহাদেশে রাশিয়ার গৌরব বাড়াতে অবদান রেখেছে। এখন আফ্রিকার মানুষকে আরও বেশি মুক্ত ও খুশি করতে এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করব। আমরা ইসলামিক স্টেট, আল-কায়েদাসহ সব দস্যুর জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব।’
গত জুনের শেষের দিকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর এটাই আফ্রিকা থেকে প্রিগোশিনের প্রথম ভিডিও বার্তা।
সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তাটি ওয়াগনারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করেছেন প্রিগোশিন। এতে সামরিক পোশাক পরিহিত প্রিগোশিনকে রাইফেল হাতে একটি মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এটা আফ্রিকার কোনো জায়গা।
প্রিগোশিন আরও বলেন, ওয়াগনার গ্রুপ সেনা নিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে যারা এই সেনা সরবরাহকারী গ্রুপে যুক্ত হতে চান, তাদের যোগাযোগ করার জন্য ভিডিওতে একটি টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ভাগনার সেনাদের আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এখন থেকে ভাগনার সেনারা আফ্রিকায় মনোনিবেশ করবেন।
প্রিগোশিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


