গ্যাবনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন অভ্যুত্থানের নেতা এনগুয়েমা
গত ৩০ আগস্ট একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে উৎখাত করেন জেনারেল ব্রাইস এনগুয়েমা। একটি বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই বঙ্গোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন এনগুয়েমা। পরে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বক্তৃতায় তিনি সামরিক শাসন কবে শেষ হবে এ বিষয়ে কোনো তারিখ ঘোষণা করেননি।
সোমবার রিপাবলিকান গার্ডের লাল আনুষ্ঠানিক পোশাক পরিহিত নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই দেশপ্রেমিক পদক্ষেপটি আমাদের স্কুলের বইয়ে শেখানো একটি শিক্ষা হবে। কয়েক দিনের মধ্যে একটি নতুন সরকার গঠন করা হবে এবং নতুন নির্বাচনী আইন, নতুন দণ্ডবিধি এবং নতুন সংবিধানের ওপর গণভোট হবে।’
এনগুয়েমা আরও বলেছেন, তিনি নতুন সরকারকে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে ‘বিলম্ব না করে ভাবতে’ নির্দেশ দিয়েছেন।
জেনারেল ব্রাইস এনগুয়েমা গত বুধবার আলী বঙ্গোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই রাষ্ট্রপতির পতন ঘটিয়ে তাকে গৃহবন্দি করেন।
অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে উল্লাসে মাতেন বেসামরিকরা। দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনে আগ্রহী অনেকেই এই অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন এনগুয়েমাও হয়তো বঙ্গো পরিবারের মতোই দীর্ঘ সময় দেশটি শাসন করবেন।
দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে গ্যাবন শাসন করছিল বঙ্গো পরিবার। আলী বঙ্গোর পিতা ওমর ২০০৯ সালে মারা যাওয়ার আগে ৪১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর ক্ষমতায় আসেন ছেলে আলী বঙ্গো।
জেনারেল তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় বঙ্গোর অভ্যন্তরীণ বৃত্তে কাটিয়েছেন এবং এমনকি তাকে আলী বঙ্গোর চাচাতো ভাই বলেও মনে করা হয়।
অভ্যুত্থানের পর গ্যাবনকে আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং ফ্রান্স দেশটির অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


