সমকামিদের স্টেডিয়ামে নিয়ে পাথর মারতে বললেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট
সমকামিদের পাথর মারা উচিৎ বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট এভারিস্তে এনদাইশিমিয়ে। দেশটিতে সমকামিতার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এনদাইশিমিয়ে বলেন, কেউ যদি এদেশে অভিশাপ ডেকে আনতে চায়, তাহলে সে সমকামিতাকে উৎসাহিত করবে।
রয়টার্স বলছে, বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট বলেছেন সমকামিতা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আমদানি করা মতবাদ। যারা এ জন্য তাদের সাজা হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এনদাইশিমিয়ে বলেন, আমি মনে করি এই ধরনের মানুষদের যদি বুরুন্ডিতে পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে স্টেডিয়ামে এনে পাথর মারা উচিৎ। এদের পাথর মারলে কোনো পাপ হবে না।
আফ্রিকার দেশগুলোতে সমকামিতার বিরুদ্ধে দিন দিন মতবাদ জোরদার হচ্ছে। একের পর এক রাষ্ট্রপ্রধানও সমকামিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন। সর্বশেষ বুরুন্ডির প্রেসিডেন্টের এমন সমকামি বিরোধী মন্তব্য প্রমাণ করে যে ওই অঞ্চলে সমকামিদের প্রতি অসহিষ্ণুতা দ্রুত বাড়ছে।
এর আগে গত মে মাসে সমকামিতা সম্পর্কিত কিছু অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে নতুন আইন প্রণয়ন করে উগান্ডা। এছাড়া শুধুমাত্র সমকামি হওয়ার জন্যেও দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে সে দেশে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
সমকামিদের বিরুদ্ধে এমন আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করার জবাবে উগান্ডার বিরুদ্ধে তীব্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাতিল করা হয় দেশটির শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুযোগ। এছাড়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয় দেশটির বিরুদ্ধে। বিশ্ব ব্যাংক জানিয়ে দেয়, তারা উগান্ডাকে ভবিষ্যতে আর কখনও ঋণ দেবে না। যদিও এত চাপের পরেও সমকামিদের বিষয়ে ঘোষিত নীতি থেকে সরে আসেনি উগান্ডা।
এদিকে কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান ও তানজানিয়ার আইনপ্রনেতারাও সমকামিবিরোধী আইন পাশে সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। আফ্রিকান সমাজের নৈতিকতা টিকিয়ে রাখতে এর কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি তাদের। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


