আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরাকান আর্মি (এএ) ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে রোববার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইরাবতি। ব্রাদারহুড জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মায়ানমার জান্তারা রাখাইন রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। 

আরাকান আর্মি হলো ব্রাদারহুড জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রুপ। তারা গত অক্টোবর থেকে শান রাজ্যে জান্তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। ব্রাদারহুড জোট বলেছে, আরাকান আর্মি পশ্চিমের এই রাজ্যটির অনেক জান্তা স্থাপনা দখল করে নিয়েছে। জান্তারা জল-স্থল-আকাশ - সব হামলা চালিয়েও এএ’র সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি।

শিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে হেরে গিয়ে যেসব জান্তা সেনা পালিয়ে গেছে, তাদের ৮০০ জনকে নতুনভাবে রাখাইন রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাদারহুড জানিয়েছে, জান্তারা জলপথে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়েতে গোলাবারুদ পাঠাচ্ছে।  

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের বরাতে জানিয়েছে, রাখাইনের ছয়টি শহরের দখল নিয়ে গত রোববার জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে। সোমবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল।

আরাকান আর্মির যোদ্ধারা দানবতীতে নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টারেও হামলা চালিয়েছে। যা দেশটির নৌ স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড়। এই হেডকোয়ার্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানে চীনের একটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। নৌবাহিনীর স্থাপনায় হামলার পর একটি গানবোট আশপাশের অঞ্চলে নির্বিচারভাবে গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। 

news