গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা, খান ইউনুসে গণকবর থেকে ২১০ লাশ উদ্ধার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবর লাশগুলো। ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ গণকবরটির খোঁজ পায়। 

এ নিয়ে গত কয়েক দিনে গাজায় তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেল। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর গাজার আল-শিফা হাসপাতাল এবং বেইত লাহিয়া এলাকায় দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

টিআরটি ওয়াল্ড জানায়, গাজার জরুরি সেবা বিভাগ বলেছে, ‘আমাদের দল অবশিষ্ট শহীদদের লাশ খুঁজে পেতে সামনের দিনগুলোতেও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাবে। কেননা, সেখানে (খান ইউনিসে) এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শহীদের লাশ রয়েছে।’

৭ এপ্রিল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে ইসরায়েল সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর এ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেল। কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের বিরামহীন গোলাবর্ষণ ও তাদের সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে শহরটির বড় অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা নগরীর আল–শিফা হাসপাতাল থেকে দুই সপ্তাহের অবরোধ তুলে নিলে ১৫ এপ্রিল সেখানে একটি গণকবরে ১৫টি লাশ পাওয়া যায়। এগুলো হল ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার রোগীদের লাশ। চিকিৎসক ও স্বজনেরা লাশগুলো শনাক্ত করেন। হাসপাতালের কর্মীরা বলেন, মার্চে হামলা চালানোর সময় আল-শিফা হাসপাতালের ফটকের খুব কাছে ইসরায়েলি সেনারা এসব ব্যক্তিকে হত্যা করে। ওই অভিযানে হাসপাতালটির বেশির ভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় একটি গণকবরে ২০টি লাশ পাওয়ায় যায়। আবর্জনা ও বালু দিয়ে লাশগুলো ঢাকা ছিল। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লাশগুলো আল-আসসাফ পরিবারের সদস্যদের।

ধারণা করা হচ্ছে, চার মাসে আগে ওই এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অনুপ্রবেশের সময় এ হত্যাযজ্ঞ ঘটে। ওই এলাকায় স্থাপন করা তল্লাশিচৌকি পার হওয়ার সময় এই পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩৪ হাজার ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হলেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news