নাইজার থেকে মার্কিন সেনাকে হটিয়ে দিল রাশিয়া

নাইজারের রাজধানীর নাম নিয়ামে। এই নিয়ামেতে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি রয়েছে। সেই ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনাদের বিতাড়িত করে রাশিয়ার সৈন্যেরা প্রবেশ করেছে। 

নিয়ামের বিমানঘাঁটি থেকে নাকি আইসিস জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপে নজর রাখছিল আমেরিকা। জাতিসংঘকে আমেরিকা জানিয়েছে, নিয়ামের বিমানঘাঁটি থেকে ড্রোন উড়িয়ে আইসিস সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা।

শুধুমাত্র নিয়ামেতে নয়, সারা বিশ্বে মোট ৮০টি দেশে ৭৫০টির বেশি ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। শুধুমাত্র জাপানেই ১২০টির বেশি ঘাঁটি রয়েছে তাদের। সেখানে ৫৩ হাজারের বেশি আমেরিকার সৈন্য রয়েছে।

শুধুমাত্র জাপানেই নয়, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, পানামা, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, ইটালি, নরওয়ে এবং কিউবার মতো দেশেও ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার। এই দেশগুলির কোথাও ৫০০-র কম সৈন্য নেই তাদের। সব মিলিয়ে ৮০টি দেশে পৌনে দু’লাখ সেনা রয়েছে আমেরিকার।

নিয়ামের বাসিন্দাদের আর্থিক পরিস্থিতি তেমন সচ্ছল নয়। আমেরিকার দাবি, আইসিস সেখানকার বাসিন্দাদের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এবং পরে তাঁরাই ইউরোপে গিয়ে হামলা করেন। নিয়ামের মধ্যে যেন আইসিস তার ছায়া ফেলতে না পারে, সে কারণেই আমেরিকার সৈন্যেরা সেখানে ঘাঁটি তৈরি করে। অন্তত এমনটাই দাবি ওয়াশিংটনের।

২০২২ সালে ২০২০ টন ওজনের ইউরেনিয়ামের উৎপাদন হয়েছিল নাইজার থেকে। সারা বিশ্বে উৎপাদিত ইউরেনিয়াম খনিজের ৫ শতাংশ নাইজার থেকে পাওয়া যায়। ফ্রান্সের মোট ইউরেনিয়ামের ১৫ শতাংশ নাইজার থেকেই আমদানি করা হয়। তা ছাড়া সোনা এবং তেল উৎপাদনের জন্যও নাইজার প্রসিদ্ধ।

আমেরিকা দাবি করে, ফ্রান্সের সেনা ফিরে গেলেও তাদের সেনা নাইজারে শান্তি ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু নাইজারের সেনা রাশিয়ার ওয়াগনার গোষ্ঠীর মতো সশস্ত্র সংগঠনকে ডেকে পাঠায়। এমনকি রাস্তায় নেমে রাশিয়ার সৈন্যকে স্বাগতও জানায় নাইজারের জনতা।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে নাইজার। আমেরিকার সৈন্যদের বিতাড়িত করতে রাস্তায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেমে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার তরফে কিছু জানানো হয়নি। আমেরিকার দাবি, নিয়ামেতে রাশিয়ার সেনা প্রবেশ করলেও তাদের বিমানঘাঁটি সম্পূর্ণ দখল করতে পারেননি।

কিন্তু শুধুই কি নাইজারের সেনার ডাকে সাড়া দিয়ে সে দেশে এসেছে রাশিয়া? না কি নেপথ্যে রয়েছে ইউরেনিয়ামের বিশাল ভান্ডারের দখল নেওয়ার চেষ্টা? অস্থির নাইজারের দিকেই আপাতত চোখ থাকবে বিশ্বের।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news