নির্ভিক সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করলেন কিম স্ট্যাটন
তথ্যচিত্রটির নাম দেওয়া হয়োছে ‘দ্য ট্রাস্ট ফল: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ’। তথ্যচিত্রটির মাধ্যমে একজন সাহসী সাংবাদিকের জীবনকে অন্বেষণ করা হয়েছে। নির্মাতা সকলের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন: ‘যদি আমরা ভাবি যে আমরা কারো সম্বন্ধে যা জানি তার সবকিছুই মিথ্যা ছিল, তাহলে কি আমরা তা নতুন দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখার সাহস পাব? আর সেটা কি আমরা নতুনভাবে বুঝার চেষ্টা করব?’
পরিচালক কিম স্ট্যাটন তথ্যচিত্রটির মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের সাহসিকতাকে বুঝার ও বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা, কবি এবং গায়ক-গীতিকার। নির্মাতার পরিচয় এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি ফিল্মস ফর চেঞ্জরও প্রতিষ্ঠাতা। চলচ্চিত্র বিষয়ে এটি একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সাল থেকেই স্ট্যাটন এটি পরিচালনা করে আসছেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বেশ কিছু ক্লাসিফাইড তথ্য প্রকাশ করে স্বার্থের পরিপন্থী হওয়া দেশগুলোর রোষানলে পড়েন। তার উপর চলে দমন-পীড়ন। এরপরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের জানার অধিকার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এসব বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে।
গায়ক রজার ওয়াটার্স ক্ষুব্ধ কণ্ঠে গেয়েছেন, ‘এটি একটি প্রতারণা, মিথ্যা, সাহসিকতার গল্প এবং একজন মানুষ যিনি সত্যকে আলোতে আনতে সবকিছু ঝুঁকিপূর্ণ করেছিলেন।’ গানটির মধ্যমণি করে তোলা হয়েছে পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিক ও প্রকাশক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে।
‘দ্য ট্রাস্ট ফল: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে কিম স্ট্যাটনের ফিল্মস ফর চেঞ্জ। পরিচালক হিসেবে কিম স্ট্যাটনের প্রথম ছবি। ১২৮ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটির পটভূমিতে তুলে ধরা হয়েছে তিনটি মহাদেশ এবং ১০টি শহর নিয়ে দুই বছর ধরে কাজ করা নানা তথ্য-উপাত্ত।
তথ্যচিত্রটিতে আরো স্থান পেয়েছে প্রয়াত পেন্টাগন পেপার্স হুইসেলব্লোয়ার ড্যানিয়েল এলসবার্গ, প্রয়াত জন পিলগার, সেইসঙ্গে তারিক আলী, ক্রিস হেজেস, জেনিফার রবিনসন, জিল স্টেইন, স্টেফানিয়া মৌরিজি এবং নিলস মেলজার এবং অনেক বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার। এর সঙ্গে তিনি অ্যাসাঞ্জের পরিবারের ব্যক্তিগত অন্তর্দৃষ্টিও অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তার স্ত্রী স্টেলা, বাবা জন শিপটন এবং ভাই গ্যাব্রিয়েল শিপটন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


