ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং আরো দুটি সংগঠন বলেছে, যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। হামাস, ইসলামী জিহাদ আন্দোলন এবং পপুলার ফ্রন্ট গতকাল (শনিবার) মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে একথা বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি নতুন কোনো শর্ত আরোপ না করে তাহলে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের চুক্তিতে পৌঁছানো এখন অসম্ভব নয়।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে হামাসের একজন নেতা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে বেশিরভাগ পয়েন্টে দুই পক্ষ একমত হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
হামাসের এ নেতা জানান, কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে তবে যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ায় সেগুলো বাধার সৃষ্টি করবে না। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে যদি ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন কোনো শর্ত আরোপ না করেন।
গত শুক্রবার হামাস, ইসলামী জিহাদ এবং পপুলার ফ্রন্টের কয়েকজন প্রতিনিধি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে মিশরের রাজধানী কায়রোয় মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা যুদ্ধোত্তর গাজার প্রশাসন নিয়েও আলোচনা করেন।
চলতি মাসের প্রথম দিকে হামাস এবং মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলনের প্রতিনিধিরা কায়রোয় এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন যারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার প্রশাসন দেখাশোনা করবেন। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুমতি নিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য গাজার অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানবিক ত্রাণ এবং পুনর্গঠনের বিষয়গুলো দেখভাল করবেন।#
পার্সটুডে