ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর বর্বরোচিত এবং পাশবিক হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৪৪ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ শহীদ হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের শহিদের সংখ্যাকে যুদ্ধাপরাধ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যার লক্ষণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। পার্সটুডে অনুযায়ী,ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর হামলা শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬৪৪ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ শহীদ হয়েছেন। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ কেবল আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনই নয় বরং তা প্রতিরোধের চেতনা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনকে ধ্বংস করার একটি সুস্পষ্ট প্রচেষ্টাও।

বিবৃতিতে, ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধ বন্ধ করতে চেষ্টা করা এবং আশা ও স্থিতিশীলতার প্রতীক ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে যে সাংবাদিক, ডাক্তার, ক্রীড়াবিদ এবং বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্যবস্তু করা একটি নৃশংস কাজ এবং এটি ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর একটি পরিকল্পিত অপরাধযজ্ঞ। আর এসব অপরাধযজ্ঞের দায়ভার সম্পূর্ণ ইসরাইলের দখলদার সরকার,মার্কিন সরকার এবং তাদের সমর্থক ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ওপর বর্তায়। পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থনে ইসরাইলি সরকার গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে একটি নতুন গণহত্যা শুরু করেছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী,গাজায় ইহুদিবাদী শাসকদের হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং এক লাখ ১০,০০০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিতি আহত হয়েছে।

ইসরাইলি শাসন ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার নকশার ফসল এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা এবং তাদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনামূলক গণহত্যা চালানো হয়েছে।ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং ইহুদিদেরকে তাদের মূল দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জোরালো সমর্থক।

পার্সটুডে