শনিবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান টিমুর টকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, এই হামলা কেন্দ্রীয় শেভচেঙ্কিভস্কি এলাকায় ঘটে।  

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাজধানীতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হানার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শহরের চারপাশে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে।”  

শেভচেঙ্কিভস্কি এলাকা, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, বার এবং রেস্তোরাঁর সমাহার, সেখানে হামলার ফলে জানালার কাচ ভেঙে যায়। লুকিয়ানিভস্কা মেট্রো স্টেশনের প্রবেশদ্বারের কাচও ভেঙে গেছে, এবং স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

অন্যদিকে, একই দিন রাশিয়ার সেনারা জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালায়। স্থানীয় গভর্নর ইভান ফেডোরভ জানান, হামলায় দুইজন আহত হন এবং একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

আল জাজিরার প্রতিবেদক জোনাহ হল কিয়েভ থেকে জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় (০৪:০০ জিএমটি) বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় ধোঁয়া ওঠা দেখা যায় একটি আবাসিক ভবন থেকে।  

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী পরে জানায়, তারা রাশিয়ার ছোড়া ২৪টি ড্রোন এবং দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।  

রাশিয়ার এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রুশ জ্বালানি ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা জোরদার করেছে। সম্প্রতি ইউক্রেন রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে একটি সামরিক বিমানক্ষেত্রের কাছে দুটি বড় তেল ডিপোতে হামলা চালিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে।  

শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের একটি ড্রোন রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলের লিউদিনোভোতে একটি শিল্প স্থাপনায় আগুন লাগায়। কালুগার গভর্নর ভ্লাদিস্লাভ শাপশা জানান, ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী দ্রুত পৌঁছালেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উভয় পক্ষের হামলা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, যার ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।  

news