মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনেই তুমুল বিতর্কে জড়ালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এক ক্যাবিনেট বৈঠকে এই বাকযুদ্ধ হয়, যা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের খবরে উঠে এসেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে উপবৃত্তাকার টেবিলের দু'পাশে বসে থাকা মাস্ক ও রুবিও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেও বাকিরা সরাসরি অংশ নেননি। মূলত, রুবিওর নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। বৈঠকে ট্রাম্পসহ অন্যান্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের সামনে রুবিও তার ক্ষোভ উগরে দেন।
রুবিওর অভিযোগ ছিল, মাস্ক ফেডারেল প্রশাসনের হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন, যা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। জবাবে মাস্ক বলেন, তিনি সরাসরি কাউকে বরখাস্ত করেননি। তখন রুবিও ব্যঙ্গ করে বলেন, “তাহলে পররাষ্ট্র দপ্তরের ১,৫০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা যারা আগাম অবসর নিয়েছেন, তারা কি ছাঁটাইয়ের শিকার হননি?”
এমন উত্তপ্ত মুহূর্তেও ট্রাম্প নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। তিনি রুবিওকে শান্ত করে বলেন, "সে (মাস্ক) ভালো কাজ করছে।" তবে ট্রাম্প পরোক্ষভাবে মাস্কের সিদ্ধান্তের পক্ষেই অবস্থান নেন।
তবে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প বলেন, “কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। রুবিও ও মাস্কের মধ্যে সম্পর্ক চমৎকার, তারা দুজনই দুর্দান্ত কাজ করছেন।” যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্কের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টাই এই উত্তেজনার মূল কারণ।


