আবারও ভারতের শুল্কনীতি নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে তিনি দাবি করেন, তার প্রশাসন ভারতের শুল্কনীতি নিয়ে দীর্ঘদিনের ‘গোপন চক্রান্ত’ ফাঁস করেছে এবং নয়াদিল্লি এখন শুল্ক কমাতে বাধ্য হবে।

ট্রাম্প বলেন, "ভারত আমাদের পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে, এতটাই বেশি যে সেখানে কিছু বিক্রি করাই অসম্ভব। কিন্তু এবার তারা শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে, কারণ অবশেষে কেউ তাদের কার্যক্রম প্রকাশ্যে এনেছে।"

শুধু ভারতই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং কানাডার বিরুদ্ধেও শুল্ক নীতির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, এই দেশগুলো আমেরিকার পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের বাণিজ্য বৈষম্য সৃষ্টি করছে।

ভারতের ক্ষেত্রে কিছু পণ্যের শুল্ক ১০০ শতাংশেরও বেশি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২০০ শতাংশের কাছাকাছি। ট্রাম্প এই নীতিকে ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করে বলেন, "আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।"

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এবার ‘পারস্পরিক শুল্কনীতি’ চালু করবে। অর্থাৎ, যে দেশ আমেরিকান পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করবে, তাদের পণ্য আমদানিতেও সমপরিমাণ শুল্ক বসানো হবে। এই নীতি আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে এবং ভারতের ওপরও বাড়তি শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কৌশলের অংশ হতে পারে। তবে তার নীতির কারণে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

news