যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ) থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাটাইয়ের পর বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই সিদ্ধান্তের প্রভাব বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে পড়তে পারে। তারা জানাচ্ছেন, এনওএএর জনবল কমানোর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়া আর সঠিকভাবে সম্ভব হবে না। এর ফলস্বরূপ, বিশ্বের অনেক দেশে দুর্যোগের ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে।
এনওএএ বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে এল নিনো বা লা নীনার প্রভাব সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশে এনওএএ থেকে ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করা হয়, যার মধ্যে জলবায়ু গবেষক, বিজ্ঞানী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা রয়েছেন। বিজ্ঞানীরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় একটি বাধা বলে উল্লেখ করেছেন।
এনওএএ-এর সাবেক জলবায়ু বিজ্ঞানী টম ডি লিবার্তো জানান, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং বৈশ্বিক জলবায়ু সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র আবহাওয়ার পূর্বাভাস নয়, বরং জলবায়ু গবেষণার ক্ষেত্রেও বিপর্যয় ঘটবে, যার প্রভাব বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে।
এনওএএ এবং ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের তথ্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে। তাদের তথ্যের ওপর নির্ভর করে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পূর্বাভাস দেওয়া হয়, যার ফলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সিস্টেম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।


