ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক নীতি এবং অহংকার বিশ্বজুড়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তিকে আরও দৃঢ় করছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ওয়াল্ট সতর্ক করেছেন, ট্রাম্প স্বল্পমেয়াদে কিছু সাফল্য অর্জন করলেও, তার নীতির দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল হবে বিপর্যয়কর। আমেরিকার হুমকি-ধমকির কারণে দেশগুলো তাদের স্বার্থ রক্ষায় একজোট হচ্ছে, যা মার্কিন আধিপত্যকে দুর্বল করছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব ক্রমেই কমছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন চীনের মতো শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে। ওয়াল্টের মতে, ট্রাম্পের পানামা খাল পুনর্দখলের হুমকি এবং চীনের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ কেবল প্রমাণ করছে যে, আমেরিকা নিজের অবস্থান হারাচ্ছে। ইতিহাস বলে, যখনই কোনো দেশ মার্কিন হুমকির সম্মুখীন হয়, তারা শেষ পর্যন্ত প্রতিরক্ষার জন্য অন্য শক্তিধর রাষ্ট্রের সাহায্য নেয়।
মুসলিম বিশ্বে ঐক্যের সুর
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে ট্রাম্প মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে চাইলেও, বাস্তবে এটি উল্টো ফল দিয়েছে। বিশ্লেষক আশকান মোম্বিনি মনে করেন, ট্রাম্পের অবস্থান মুসলিম দেশগুলোকে আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জোরদার করেছে।
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ব্যর্থ
ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশলও ব্যর্থ হয়েছে। নাজাহ মোহাম্মদ আলীর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইরান এখন আরও শক্তিশালী প্রতিরোধ নীতি গ্রহণ করেছে, পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে এবং আমেরিকার পদক্ষেপ ইউরোপের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে আরও দুর্বল করছে।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠছে?
বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষক ফরিদ জাকারিয়া বলছেন, বিশ্বজুড়ে মার্কিন আধিপত্য কমছে, বিভিন্ন দেশ এখন আমেরিকার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ডলারের বিকল্প খুঁজছে। ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কৌশল হয়তো আসলে আমেরিকার পতনের কারণ হয়ে উঠবে!


