ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যে স্বাগত জানিয়েছে চীন, যেখানে তিনি ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মোদির মতে, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে সেগুলোকে বিবাদে পরিণত করা উচিত নয়। বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) ঘটনাগুলোর পর উভয় দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং মোদির মন্তব্যকে ‘ইতিবাচক’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, চীন ভারত-চীন সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত। মাও আরও বলেন, চীন ভারতকে সহায়তা করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তিনি জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরের কাজান বৈঠকে শি জিনপিং ও মোদির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তী পর্যায়ে সম্পর্কের উন্নতির পথ প্রশস্ত করেছে।
এছাড়া, মোদি পডকাস্টে বলেছেন, ভারত ও চীন কখনোই বিরোধপূর্ণ ইতিহাসে আবদ্ধ ছিল না। উভয় দেশকে একে অপরকে সমর্থন করতে হবে এবং পরস্পরের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে, বিশেষত তাদের ২.৮ বিলিয়নের বেশি মানুষের স্বার্থে। মোদি দৃঢ়ভাবে বলেন, "সংঘর্ষ নয়, আমরা সংলাপের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই, কারণ এটি উভয় দেশের স্বার্থে অপরিহার্য।"
চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে মোদির এই মন্তব্য চীনের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।


