ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহর আবারও সহিংসতার সাক্ষী। সোমবার সন্ধ্যায় কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর শহরের একাধিক এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগসহ সহিংস ঘটনা ঘটে, যার ফলে কমপক্ষে ছয় জন বেসামরিক এবং তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিন্তু তা যথেষ্ট না হওয়ায়, পরবর্তীতে কারফিউ জারি করা হয়।

এএনআই সূত্রে জানা গেছে, নাগপুর শহরের বেশ কয়েকটি থানার এলাকায়—কোতোয়ালি, গণেশপেঠ, লাকাডগঞ্জ, পাচপাওলি, শান্তিনগর, সক্করদারা, নন্দনবন, ইমামওয়াড়া, যশোধারা নগর ও কপিল নগরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। নাগপুর পুলিশ কমিশনার ড. রাভিনদার কুমার সিনগাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।

মহারাষ্ট্রের মাইনোরিটি কমিশন চেয়ারম্যান পিয়ার খান ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং নাগপুরের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বহিরাগতরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

তবে, পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী যোগেশ কদম জানিয়েছেন, সহিংসতার কারণ এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং পুলিশের তদন্ত চলছে।

news